আজকাল ওয়েবডেস্ক: কেউ কারও কাছে বশ্যতা স্বীকার করতে রাজি নয়। আমেরিকা ইরানকে সতর্ক করলেও, খামেনেই স্পষ্ট জানিয়েছেন জোর করে আরোপ করা যুদ্ধ এবং জোর করে আরোপ করা শান্তি, ইরান চায় না কোনওটাই। সংঘর্ষের সপ্তম দিনে ইজরায়েলের হাসপাতালে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করেছে ইরান। ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত ওই হাসপাতাল। পাল্টা হামলা থেকে একেবারেই বিরত নেই ইজরায়েল। একদিকে ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি, অন্যদিকে যুদ্ধআবহ। এই মুহূর্তে প্রশ্ন উঠছে, ইরানের নীরব বন্ধুরা কোথায়? তাহলে কি এবার কয়েকদশক পর মধ্য-প্রাচ্যে বদলে যাচ্ছে চেনা সমীকরণ?
চার দশকেরও বেশি সময় ধরে, ইরান মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে ‘প্রক্সি ফোর্স’-এর একটি জোট তৈরি করেছে, যেটিকে বলা যায় সেলফ স্টাইল অ্যাক্সিস অফ রেজিস্টেন্স। কেন এই জোট তৈরি হয়েছে? মূলত নিজেদের সম্মিলিত, একক শক্তি প্রদর্শন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইজরায়েলি প্রভাব প্রতিহত করার জন্য এবং সরাসরি সংঘর্ষ থেকে নিজেদের বিচ্ছিন্ন রাখাই মূল লক্ষ্য। কিন্তু বিশ্ব রাজনীতির মঞ্চ নাকি এখন একেবারেই আলাদা ছবি দেখছে।
তেহরানে যখন সকাল-বিকেল আছড়ে পড়ছে ইজরায়েলি বোমা, মিসাইল, হুমকি দিচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট, তখন প্রক্সি ফোর্সের বাকি শরিকরা কার্যত নিশ্চুপ!
কারা রয়েছে এই প্রক্সি ফোর্স-এ? লেবাননে হিজবুল্লাহ, প্যালেস্তাইনে হামাস, ইয়েমেনে হুতি বিদ্রোহীরা এবং ইরাকে ইরান-সমর্থিত শিয়া মিলিশিয়ারা। যারা এই পরিস্থিতিতে কার্যত চুপ। প্রশ্ন ঘুরছে, কয়েক দশকের মধ্যে এবার কি তাহলে প্রথম, যখন যুদ্ধের ময়দানে একলা লড়াই করতে হবে ইরানকে?
কেবল মধ্য প্রাচ্য নয়, মধ্যপ্রাচ্যের বাইরেও, ইরানের মিত্র দেশ হিসেবে বিভিন্ন ক্ষেত্রে যারা চিহ্নিত, তারা কেবল শক্তিশালীই নয়, বরং ‘কর্তৃত্ববাদী’ হিসেবেও পরিচিত বিশ্বে। তালিকায়- রাশিয়া, চীন এবং উত্তর কোরিয়াও।
রাশিয়া ইরানের সমর্থক হিসেবে বিবেচিত হলেও, এই যুদ্ধে বেশ ভেবে পা ফেলছে। ইজরায়েলি হামলার নিন্দা করলেও, কোনও কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি এখনও। ইরানের পাশে দাঁড়িয়ে বড় বার্তাও দেয়নি।
