সম্পর্ক আর নেই। রয়ে গিয়েছে স্মৃতি। অমলিন। সময়ের ঘষা লাগেনি এতটুকুও। এক সময় যে দিনটা জুড়ে থাকত আনন্দ, উদযাপন, ব্যস্ততা, আজ সেখানে শুধুই সৌজন্য। ফেলে আসা দিনের সুবাস। মনে রেখে দেওয়ার কর্তব্যবোধ।
২৮ আগস্ট। জিতু কামালের জন্মদিন। গুগল বলছে, ৩৫-এ পা রাখলেন অভিনেতা। শুরু করেছেন জীবনের নতুন একটা বছর। বিশেষ দিনে তাঁকে শুভেচ্ছা জানাতে ভোলেননি প্রাক্তন স্ত্রী নবনীতা দাস। ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে ঘটা করে অভিনেতাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। জিতুর একটি ছবি শেয়ার করেছেন অভিনেত্রী। তাঁর সাদা-কালো স্ট্রাইপ শার্ট, ধূসর ট্রাউজার্স। চোখ ঢেকেছে কালো চশমায়। মাথায় টুপি। মুখে হাসি। অতীতের সেই মুহূর্ত সকলের সঙ্গে ভাগ করে নিয়ে জিতুর উদ্দেশ্যে নবনীতা লেখেন, ‘শুভ জন্মদিন।’ এর বেশি একটি শব্দও ব্যয় করেননি নবনীতা। দেখে মনে হতে পারে যেন খানিক ভদ্রতা করেই এই পোস্ট। কিন্তু সত্যিই কি তাই? নাকি অনেক কথা বলতে চেয়েও লিখলেন না কিছুই? সেই উত্তর শুধু নবমিতাই জানেন।
২০২৩ সালের মাঝে আচমকাই ফেসবুকে বিচ্ছেদের কথা পোস্ট করেন অভিনেত্রী নবনীতা। জানিয়েছিলেন, জিতুর সঙ্গে তাঁর পথ আলাদা হয়েছে। প্রথমে অনেকেই ভেবেছিলেন নিছক মজা করছেন তিনি। বা হয়তো কোনও নতুন কাজের প্রচারমূলক পোস্ট। কিন্তু সকলকে চমকে দিয়ে তারকা-দম্পতি জানিয়েছিলেন, আইনি পথ মেনে তাঁরা সত্যিই আলাদা হয়েছেন। তবে বিচ্ছেদের পরেও কখনও কাদা ছোড়াছুড়ি করেননি কেউই। বরং বজায় রেখেছেন শিষ্টাচার।

চলতি মাসের শুরুতে যখন দিতিপ্রিয়ার সঙ্গে জিতু বিতণ্ডায় জড়ান, তখনও প্রাক্তনের পাশে দাড়িয়েছিলেন নবনীতা। জানিয়েছিলেন, জিতুর প্রতি পূর্ণ আস্থা রয়েছে তাঁর। আজকাল ডট ইন-কে অভিনেত্রী বলেছিলেন, “আমি ওকে নিপাট ভাল মানুষ বলেই চিনি। আমাদের সম্পর্ক থাকাকালীনও ও এরকম কিছু করেনি, যার জন্য ওর চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন তোলা যায়। তাই ওর নামে এরকম অভিযোগ শুনে অবাকই হচ্ছি।”
নায়িকার কথায়, জিতু আগাগোড়াই স্বল্পভাষী। নিজের ওজন বুঝে কথা বলেন। তিনি বললেন, “জিতু সেটে খুব বেশি কথা কখনওই বলে না। ওর ব্যক্তিত্ব সেরকম নয়। ও বেশিরভাগ সময়ই নিজের মতো থাকে। তবে ওর রসবোধ খুব সূক্ষ্ণ। কিন্তু তা বেশি কথা বলে বোঝাবার দরকার হয় না।”
জিতুর পক্ষ নিয়ে কথা বললেও দিতিপ্রিয়ার খারাপলাগাকে সম্পূ্র্ণভাবে উড়িয়ে দেননি নবনীতা। তাঁর বক্তব্য, “দিতিপ্রিয়া বয়সে অনেকটাই ছোট। যেটা অনেকের কাছে নিছক ইয়ার্কি, তা ওর খারাপ লাগতেই পারে। তা ছাড়া কার ঠিক কতটা ইয়ার্কি নেওয়া ক্ষমতা থাকবে, সেটা তো আমরা ঠিক করে দিতে পারি না। তাই ওর খারাপ লেগে থাকলে সেটাও উড়িয়ে দেওয়া ঠিক নয়।” ২০২৩ সালে বিচ্ছেদ হয় জিতু-নবনীতার। পথ আলাদা হলেও প্রাক্তনের প্রতি তাঁর আস্থা অটল।
অনেক দিনই হল পথ আলাদা হয়েছে জিতু-নবনীতার। এরপর তাঁদের নতুন প্রেমের গুঞ্জনও শোনা গিয়েছে। তবু যেন কিছু না বলেই যেন তাঁরা নিঃশব্দে প্রশ্ন, ‘আমাদের গেছে যে দিন একেবারেই কি গেছে, কিছুই কি নেই বাকি’।
