আজকাল ওয়েবডেস্ক: খাস কলকাতায় ফের রহস্যমৃত্যু। কালীপুজোর পরের দিন সকালে ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া সঙ্গে প্রবল আতঙ্ক, একাধিক প্রশ্ন। কালীপুজোর পরের দিন নাকতলা নেতাজি নগর থানা এলাকার রামগড় পুকুর থেকে জোড়া মৃতদেহ উদ্ধার। একজনের পরিচয় পাওয়া গেলেও আরেকজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি, প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত পাওয়া তথ্য তেমনটাই। জানা গিয়েছে, দু’জনেরই মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। দেহ পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য।

পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতদের মধ্যে একজনের পরিচয় প্রীতম চৌধুরী। তবে অপরজনের কোনও পরিচয় পাওয়া যায়নি মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত, সে এলাকার বাসিন্দা নন বলেই পুলিশ সূত্রে খবর। তবে প্রীতম চৌধুরী এলাকার বাসিন্দা, পরিচিত মুখ বলেই জানা গিয়েছে।  

আরও পড়ুন: 'দিওয়ালি বোনাস' পাননি, রাগে-ক্ষোভে যা করলেন টোল কর্মীরা, কয়েকঘণ্টায় বড় ক্ষতি হয়ে গেল কেন্দ্রের!...

পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, প্রীতমের জলে ডুবেই মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, গত  দু’দিন ধরে প্রীতমের কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। তারপরেই আচমকা মঙ্গলবার সকালে পুকুর থেকে ভাসমান অবস্থায় প্রীতমের দেহ উদ্ধার হয়। পুকুরের ধারে তাঁর ব্যাগ জামাকাপড় সব রাখা ছিল বলেও জানা গিয়েছে। সেই ব্যাগ প্রথমে নজরে আসে স্থানীয়দের। তারপরেই নজর যায় পুকুরের দিকে। আঁতকে ওঠেন স্থানীয়রা। 

 

কালীপুজোর পরের দিনই এলাকায় জোড়া দেহ উদ্ধারের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।  কারণ কী? প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য, পুলিশ জানিয়েছে, জোড়া মৃত্যুর পিছনে কী কারণ রয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের পরেই মৃত্যু-ধোঁয়াশা কাটোবে বলে মত পুলিশের। প্রীতম ছাড়া অপরজনের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ।

 

অন্যদিকে শহরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে  এক পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীর দেহ উদ্ধারের ঘটনায়। ঘটনাটি ঘটেছে আলিপুর থানার অন্তর্গত ডি.এল খান রোডের বিদ্যাসাগর কলোনিতে। মৃত নাবালিকার বয়স মাত্র ১১ বছর। পরিবারের একমাত্র মেয়ে, পড়াশোনা করত কলকাতার এক নামী বেসরকারি স্কুলে।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার সন্ধ্যায় বাড়িতে একা ছিল ওই ছাত্রী। বাবা ছিলেন অফিসে, মা গিয়েছিলেন কালীপুজোর বাজারে। বাড়ি ফিরে বারবার মেয়েকে ডাকেও সাড়া না পাওয়ায় মায়ের মনে অজানা আশঙ্কা জাগে। চারপাশে খোঁজাখুঁজি করতে করতে যখন ঘরের বড় আলমারির দরজা খোলেন, তখনই দেখতে পান ভয়ঙ্কর দৃশ্য। দেখা যায়, আলমারির ভিতরে ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে নাবালিকা মেয়েটির মৃতদেহ। পরিবারের চিৎকারে ছুটে আসেন প্রতিবেশীরা।

খবর যায় আলিপুর থানায়। পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। এরপরই দেহ পাঠানো হয় ময়নাতদন্তের জন্য। সোমবার কালীপুজোর রাতে নাবালিকার মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, এটি আত্মহত্যার ঘটনা হতে পারে। তবে খুনের সম্ভাবনাও পুরোপুরি উড়িয়ে দিচ্ছেন না তদন্তকারীরা। ঘটনাস্থল থেকে কোনও সুইসাইড নোট পাওয়া যায়নি। ফলে মৃত্যু আত্মঘাতী না পরিকল্পিত খুন—তা নিশ্চিত করতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

 

আরও পড়ুন: আলিপুরে রহস্যমৃত্যু পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীর, ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার, পরিবারকে দায়ী করে বাবা-মাকে জুতোপেটা স্থানীয়দের...

এর আগে, দেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল উত্তরবঙ্গে। ১১ অক্টোবর, শনিবার সকালে হাইড্রাল প্রজেক্টে কর্মরত নিরাপত্তারক্ষীরা দেখতে পান ক্যানেল দিয়ে একটি মৃতদেহ ভেসে আসছে। এই দেখে তড়িঘড়ি নিরাপত্তারক্ষীরা খবর দেন তিস্তা ক্যানেল হাইড্রাল প্রোজেক্টের আধিকারিক ও ফাঁসিদেওয়া থানার পুলিশ কর্মীদের। আসে ফাঁসি দেওয়া থানার পুলিশ।