আজকাল ওয়েবডেস্ক: দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়া, বয়স ১৯। বাড়ি থেকে গিয়েছিলেন, হাসপাতালে পরিচিতার সঙ্গে সাক্ষাতের কথা বলে। সেই হাসপাতালেই তাঁর সঙ্গে যা ঘটে গেল, ভেবেই শিউরে উঠছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। ইতিমধ্যে ওই ভয়াবহ ঘটনায় ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যদিও তার সত্যতা যাচাই করেনি আজকাল ডট ইন। 

তবে, সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, মধ্যপ্রদেশের ওই হাসপাতালে নৃশংস খুনের ঘটনাটি ঘটেছে ২৭ জুন। সোমবার, ৩০ জুন ঘটনার ভিডিও প্রকাশ্যে আসে। জানা গিয়েছে, দ্বাদশ শ্রেণির ওই পড়ুয়ার নাম সন্ধ্যা চৌধুরী। ২৭ জুন, নরসিংহপুরের সরকারি হাসপাতালে গিয়েছিলেন। 

জানা গিয়েছে, অভিষেক কোষ্টি নামের এক যুবক, দুপুর থেকে হাসপাতালের আশেপাশে ঘুরে বেড়াচ্ছিল। মনে করা হচ্ছিল ওই কিশোরীর অপেক্ষাই করছিল যুবক। তারা ২২ নম্বর কক্ষের বাইরে কিছুক্ষণ কথা বলে।বিবাদ নাকি সেখানেই জোরদার হয়। 

স্থানীয় সূত্রে খবর, তারপরেই আচমকা সকলের সামনেই ওই যুবক, কিশোরীর বুকে চেপে বসে। তার গলায় ধারাল অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। সেই সময় ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে ছিলেন সকলেই। কিন্তু কেউ এগিয়ে আসেননি পরিস্থিতি মোকাবিলায়, অভিযোগ তেমনটাই। প্রায় দশ মিনিট ধরে অত্যাচার চালিয়ে, বাইরে দাঁর করানো গাড়ি চালিয়ে পালিয়ে যায় ওই যুবক।

এই নারকীয় হত্যালীলার সময়, ট্রমা সেন্টারের বাইরে দুজন নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন ছিলেন। ভেতরে, একজন ডাক্তার, নার্স এবং ওয়ার্ড বয় সহ একাধিক হাসপাতালের কর্মী ছিলেন। কেউই আক্রমণকারীকে থামাতে পারেনি।

নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ভেঙে পড়ায় রোগী এবং তাদের পরিবার আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। ট্রমা ওয়ার্ডে ভর্তি ১১ জন রোগীর মধ্যে আটজনকে সেদিন এবং বাকিদের পরের দিন সকালে ছুটি দেওয়া হয়।


বিকেল ৩:৩০ টার দিকে মেয়েটির পরিবারকে খবর দেওয়া হয়। তারা যখন হাসপাতালে পৌঁছায়, তখনও তার মৃতদেহ ঘটনাস্থলেই পড়ে ছিল বলে জানা গিয়েছে।