আজকাল ওয়েবডেস্ক: জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সাক্ষী পদ্মাপার। সাক্ষী আরও বহুকিছুর, যেকথা আগে ভাবেনি দেশ। চাকরিতে কোটার বিরোধীতা করে যে আন্দোলন শুরু হয়েছিল বাংলাদেশে, তা থেমেছে সরকারের পতনে। নতুন অন্তর্বর্তী সরকার, নয়া রাজনৈতিক ছাত্র দল, সব মিলিয়ে গত কয়েকমাসে বারবার প্রেক্ষাপট বদলে গিয়েছে মুজিবের দেশে। যদিও বর্তমান সরকার সেদেশ থেকে যেন মুজিবকেই মুছে ফেলতে চাইছে নানা ভাবে। এসবের মাঝেই বড় ষড়যন্ত্রের আভাস নাকি বাংলাদেশে। সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর তেমনটাই।
সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, পাকিস্তানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা, সেনাবাহিনিতে অভ্যুত্থানের পরিকল্পনার অভিযোগে সেনার এক শীর্ষ আধিকারিকের উপর কড়া নজরদারি চালাচ্ছে বাংলাদেশ সেনা।
কোয়ার্টার মাস্টার জেনারেল (কিউএমজি) লেফটেন্যান্ট জেনারেল ফয়জুর রহমানের পদক্ষেপের ইঙ্গিত পাওয়ার পরেই নাকি সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামান এই নির্দেশ দিয়েছেন। ওয়াকার-উজ-জামানের অজ্ঞাতেই জামাত ঘনিষ্ঠ ফয়জুর রহমানের পরপর বৈঠক ডাকার ঘটনা সামনে আসার পরেই, তিনি বিষয়টি বুঝতে পারেন।
বৈঠকে কী আলোচনা চলছিল? সূত্রের খবর, মূল ষড়যন্ত্র চলছিল ওয়াকারের বিরুদ্ধেই। তাঁর বিরুদ্ধে সমর্থন সংগ্রহ করার জন্যই ডাকা হচ্ছিল একের পর এক বৈঠক। সেনা-সমর্থনে ওয়াকারকে সরিয়ে সেই জায়গায় নিজে বসার পরিকল্পনা করছিলেন বলেই খবর সূত্রের। উল্লেখ্য, জানুয়ারি থেকেই ফয়জুরের কার্যকলাপ নজরে আসতে শুরু করে।
গুরুত্বপূর্ণ বিভাগীয় কমান্ডারদের (জিওসি) মার্চের শুরুতেই বৈঠকে ডাকা হয়েছিল। তবে, সেনাপ্রধানের সচিবালয় এই বৈঠকের কথা জানতে পারে এবং শীর্ষ কর্মকর্তাদের কাছে একটি সতর্কবার্তা পাঠানো হয় তৎক্ষণাৎ। ফলে, শীর্ষ কর্মকর্তারা গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক থেকে সরে আসেন।
শুধুমাত্র সেনা কর্তাদের সঙ্গেই নয়, লেফটেন্যান্ট জেনারেল ফয়জুর রহমান ২০২৫-এর প্রথম দু’ মাস একাধিক জামাত নেতা এবং পাক কুটনীতিবিদদের সঙ্গে বৈঠক করেন।
গত মাসে, সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেছিলেন যে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির দ্রুত অবনতি হওয়ার পিছনে রাজনৈতিক অস্থিরতা রয়েছে।তারমাঝেই সামনে এসেছে সেনা বাহিনীতে অভ্যুত্থান, তাঁর বিরুদ্ধেই ষড়যন্ত্রের তথ্য।
