আজকাল ওয়েবডেস্ক: ডিমাপুরগামী বিমান। দিল্লি বিমানবন্দর থেকে উড়ান শুরু করবে। ঠিক তার আগের মুহূর্তে ভয়াবহ বিপদ। সূত্রের খবর, ওই বিমানে থাকা এক যাত্রীর পাওয়ার ব্যাঙ্ক থেকে আচমকা আগুন ধরে যায় বিমানের ভিতরেই। যদিও জানা গিয়েছে, বিমানের এক কর্মী, তৎপরতার সঙ্গে তৎক্ষণাৎ আগুন নিভিয়ে ফেলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। ঘটনায় কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। বিমান কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ঘটনার পরে বিমানে থাকা সমস্ত যাত্রী-কর্মী নিরাপদে রয়েছেন সকলেই।  

ঘটনাটি ঘটেছে ইন্ডিগোর বিমানে। ঘটনার পর, বিমান সংস্থা বিবৃতি জারি করে জানিয়েছে, ১৯ অক্টোবর দিল্লি থেকে নাগাল্যান্ডের ডিমাপুরগামী ফ্লাইট ৬ই ২১০৭-এর এক যাত্রীর সিটের পিছনের পকেটে রাখা ব্যক্তিগত ইলেকট্রনিক সরঞ্জাম থেকে সামান্য আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। বিমান কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ক্রুরা স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং পদ্ধতি অনুসরণ করে দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই ঘটনাটি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। 

আরও পড়ুন: মহাগঠবন্ধনে মহা-সংকট! অধরা রফাসূত্র, ১৪৩ আসেন প্রার্থী ঘোষণা করল আরজেডি, 'একলা চলো' নীতি আপের

ফ্লাইট ট্র্যাকিং ওয়েবসাইট Flightradar24.com-এ পাওয়া তথ্য অনুসারে, বিমানটি দিল্লি বিমানবন্দর থেকে দুপুর ২:৩৩ মিনিটে উড়ান শুরু করে এবং বিকেল ৪:৪৫ মিনিটে ডিমাপুর (নাগাল্যান্ড)-এ অবতরণ করে সুরক্ষিতভাবেই। তবে ওই বিমানটির দিল্লি বিমানবন্দর থেকে দুপুর ১২:২৫ মিনিটে উড়ানের কথা ছিল। পরিস্থিতি বিচারে পিছিয়ে যায় উড়ানের সময়। 

ইন্ডিগো জানিয়েছে, নির্ধারিত প্রোটোকল অনুসারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে তাৎক্ষণিকভাবে অবহিত করা হয়েছিল। পরে প্রয়োজনীয় পরীক্ষার পর, বিমানটিকে উড়ানের অনুমতি দেওয়া হয় বলেও জানিয়েছে বিমান কর্তৃপক্ষ। রবিবারের এই ঘটনার পর, ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা ঘটেছে সোমবারে।অবতরণের সময় রানওয়ে থেকে পিছলে সোজা সমুদ্রে গিয়ে পড়ল এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি পণ্যবাহী বিমান! এই দুর্ঘটনায় দু'জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। দুর্ঘটনার আগে বিমানটি বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে থাকা একটি গাড়িতেও জোরে ধাক্কা মারে বলে খবর। 

দুর্ঘটনার পর তোলা ছবিতে দেখা গিয়েছে, এয়ারএসিটি লিভারি-সহ একটি বোয়িং ৭৪৭ কার্গো বিমান বিমানবন্দরের পাঁচিল ভেদ করে আংশিকভাবে জলে ডুবে রয়েছে। একটি এস্কেপ স্লাইড স্থাপন করা হয়েছে। দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানের নাক ও লেজের অংশ পৃথক করা হয়েছে।

হংকং কতৃপক্ষের তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, বিমানে থাকা চার ক্রু সদস্যকে উদ্ধার করা হয়েছে। সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট পুলিশকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, রানওয়ের কাছে একটি গ্রাউন্ড ভেহিকেলের ভিতরে থাকা দু'জন মারা গিয়েছেন। পুলিশ অবশ্য কোনও মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। হংকং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর জানিয়েছে যে, বিশ্বের ব্যস্ততম কার্গো বিমানবন্দরের উত্তর রানওয়েটি ঘটনার পর বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, দক্ষিণ এবং কেন্দ্রীয় রানওয়েগুলি চলাচল অব্যাহত রয়েছে। 

 

সোমবার ভোর সাড়ে তিনটের সময়ে দুবাই থেকে আসা এই পণ্যবাহী বিমানটির অবতরণের কথা ছিল। বিমানে পাইলট-সহ মোট চার জন ক্রু সদস্য ছিলেন।  বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, অবতরণের সময় আবহাওয়া বেশ খারাপ ছিল। সেই কারণেই পাইলট বিমানটির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন। বিমানটি পিছলে গিয়ে গাড়িতে ধাক্কা মেরে সমুদ্রে পড়ে যায়।