আজকাল ওয়েবডেস্ক: বেঙ্গালুরুতে এক চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের বিরুদ্ধে গুরুতর যৌন হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে। খবর অনুযায়ী, তাঁর ক্লিনিকে চিকিৎসা করাতে এসে ২১ বছর বয়সি এক যুবতী চরম হেনস্থার শিকার হয়৷ হেনস্থার অভিযোগে ওই চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এই ঘটনা ঘিরে সম্প্রতি চরম চাঞ্চল্য শহরে৷
পুলিশে করা অভিযোগে যুবতী জানিয়েছেন, গত ১৮ অক্টোবর তিনি ডাঃ প্রবীণের ক্লিনিকে যান চর্মরোগের চিকিৎসা করাতে। ডাক্তারের বিরুদ্ধে অভিযোগ, পরীক্ষার সময় ওই চিকিৎসক তাঁকে জোর করে পোশাক খুলতে বাধ্য করেন এবং অশালীন ভাবে স্পর্শ, জড়িয়ে ধরা এবং চুমু খেতে থাকেন। যুবতীর আরও অভিযোগ, চিকিৎসক তাঁকে কুরুচিকর মন্তব্য করেন এবং পরে একটি হোটেলে দেখা করার প্রস্তাব দেন।
এই ঘটনার পরই যুবতী তাঁর পরিবারকে সব জানান। পরিবারের পক্ষ থেকে দ্রুত পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করা হয়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ভারতীয় ন্যায় সংবিধান (বিএনএস)-এর ধারা ৭৫ (যৌন হেনস্থা) এবং ৭৯ (নারীর শালীনতা নষ্টের উদ্দেশ্যে শব্দ, অঙ্গভঙ্গি বা কাজ)-এর অধীনে একটি মামলা দায়ের করেছে।
ঘটনার জেরে বর্তমানে অভিযুক্ত চিকিৎসককে ইতিমধ্যেই হেফাজতে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। পাশাপাশি পুরো ঘটনার তদন্ত জারি রয়েছে।
প্রসঙ্গত, বিজেপি শাসিত রাজ্য ওড়িশায় আবারও ধর্ষণের ঘটনা প্রকাশ্যে। এবার স্বামীর সহকর্মীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ তুলেছেন এক যুবতী। ধর্ষণের পর তাঁকে খুনের হুমকিও দেওয়া হয়। বিষয়টি বাইরে ফাঁস করলেই যুবতীকে খুনের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ অভিযুক্ত যুবকের বিরুদ্ধে।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে ওড়িশার বালাঙ্গীর জেলায়। ১১ সেপ্টেম্বর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতা যুবতী। পুলিশকে তিনি জানিয়েছেন, এক মাস আগে তিনি ধর্ষণের শিকার হয়েছেন।
পুলিশ আধিকারিক লক্ষ্মী নারায়ণ মারান্ডি জানিয়েছেন, যুবতী ও তাঁর স্বামী ভাড়া বাড়িতে থাকতেন। স্বামীর এক সহকর্মী প্রায়ই তাঁদের বাড়িতে আসত। ক্রমেই বন্ধুত্ব গড়ে উঠেছিল। গত ১৩ আগস্ট রাত সাতটা থেকে আটটার মধ্যে অভিযুক্ত যুবক আচমকাই তাঁদের বাড়িতে আসে। সেই সময় যুবতী একাই ছিলেন বাড়িতে। স্বামী কাজের সূত্রে বাইরে ছিলেন।
সেদিনই ফাঁকা বাড়িতে ঢুকে যুবতীকে ধর্ষণ করে ওই অভিযুক্ত যুবক। ধর্ষণের পর তাঁকে খুনের হুমকি দিয়ে পালিয়ে যায়। এক মাস পর কেন যুবতী অভিযোগ জানালেন? পুলিশকে নির্যাতিতা জানিয়েছেন, খুনের হুমকির কারণেই তিনি আতঙ্কে ছিলেন। পাশাপাশি সামাজিক কারণে, পরিবারের সম্মানহানির কারণে ভয়ে অভিযোগ জানাতে পারেননি তড়িঘড়ি। এদিকে পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত যুবক বর্তমানে পলাতক। তার খোঁজে তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।
