আজকাল ওয়েবডেস্ক: ২২ আগস্ট। দেশের শীর্ষ আদালত নির্দেশ দেয় পথকুকুরদের জীবাণুমুক্ত করার এবং টিকা দেওয়ার বিষয়ে। সেদিন আদালত জানায়, পথকুকুরদের রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে জীবাণুকরণ প্রতিষেধক এবং বন্ধ্যাত্বকরণ টিকা দেওয়ার পর, আবার যে জায়গার কুকুর, সেই এলাকাতেই ছেড়ে দেওয়া হবে। ব্যতিক্রম হিসেবে, হামলা চালাতে পারে, অর্থাৎ হিংস্র কিংবা জলাতঙ্ক ঘটাতে পারে, এমন কুকুরদের ছাড়া যাবে না বলেও জানানো হয়। পথকুকুরদের মামলায়, তাদের বিপদ সম্পর্কে শীর্ষ আদালত রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির থেকে হলফনামা চেয়েছিল। সূত্রের খবর, শীর্ষ আদালত জানিয়েছে বাংলা, দিল্লি পুরসভা, তেলেঙ্গানা ওই হলফনামা জমা দিয়েছে।
কিন্তু বাকি রাজ্য, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ওই হলফনামা জমা দেয়নি। দিল্লি পুরসভা ব্যাতীত দিল্লি সরকার আলাদাভাবে সামগ্রিক হলফনামা দেয়নি। সূত্রের খবর, যেসব রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হলফনামা জমা দেয়নি পথকুকুর মামলায়, তাদের মুখ্যসচিবদের ৩ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টে সশরীরে হাজিরা দিতে হবে। করতে হবে জবাবদিহিও।
সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বিক্রম নাথ, বিচারপতি সন্দীপ মেহতা এবং বিচারপতি এনভি অঞ্জরিয়ার বেঞ্চে এই মামলা ওঠে সোমবার। সুপ্রিম কোর্ট এদিন পথকুকুর মামলায় কড়া ভর্ৎসনা করে জানায়, দু'মাস পেরিয়ে যাওয়ার পরেও হলফনামা জমা না দেওয়ায়, দেশের মুখ পুড়ছে, তেমনটাই তথ্য সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে।
আরও পড়ুন: এসআইআর-এর আগেই বদলি? বিরাট রদবদল প্রশাসনে, তালিকায় ডিএম-এডিএম-সহ বহু আমলা, কে যাচ্ছেন কোথায়?
২২ আগস্ট, ১১ আগস্টের নির্দেশাবলীতে বদল করে শীর্ষ আদালত। আগের রায়ে বলা হয়েছিল, দিল্লি এনসিআর এলাকায়, পথকুকুর আর রাস্তায় থাকতে পারবে না। তাদের সরিয়ে নেওয়া হবে অন্যত্র। তারপর থেকে দেশজুড়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন সাধারণ মানুষ, পশুপ্রেমীরা। ২২ আগস্ট শীর্ষ আদালত ওই রায়ের পরিবর্তন করেছে।
এর আগে, ১১ আগস্ট শীর্ষ আদালত নির্দেশ দেয় দিল্লি-এনসিআরের সব পথ কুকুরকে রাস্তা থেকে সরিয়ে নিতে হবে বাধ্যতামূলক ভাবে। এমনকি, এই কার্যক্রমে বাধা দিলে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের। উল্লেখ্য, গত কয়েক মাসে দিল্লিতে কুকুরের কামড়ের ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় এবং রেবিস আক্রান্ত হয়ে একাধিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটায় এই নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। ১১ আগস্ট সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি জে বি পারদেওয়ালা এবং আর মহাদেবনের বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হয়। বেঞ্চ জানিয়েছে, কেন্দ্র ছাড়া অন্য কোনও পক্ষের তরফে শুনানি হবে না। বেঞ্চের বক্তব্য, ‘আমরা এই কাজ আমাদের জন্য করছি না, এটি জনস্বার্থে। তাই এখানে কোনও আবেগের স্থান নেই। দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে’। আদালতের বেঞ্চের স্পষ্ট বার্তা, ‘সব জায়গা থেকে কুকুরকে তুলে নিয়ে গিয়ে আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে যেতে হবে। আপাতত নিয়ম-কানুন ভুলে যান’।
এর আগে আমিকাস কুরাই গৌরব আগরওয়ালা সুপারিশ করেছিলেন কীভাবে পথকুকুর সমস্যার সমাধান করা যায়। কিন্তু আদালতের স্পষ্ট বক্তব্য, ‘কুকুরদের গৃহপালিত করার ব্যাপার আপাতত বিবেচনা করা হচ্ছে না। তাতে পরে তাদের আবার ছেড়ে দেওয়ার সম্ভাবনা থাকে’। সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা জানান, ‘দিল্লিতে একটি আলাদা জায়গা নির্ধারণ করা হয়েছে যেখানে কুকুরদের স্থানান্তর করা হবে। কিন্তু পশু অধিকারকর্মীদের আপিলের কারণে প্রকল্প আটকে গেছে।
