দীপান্বিতা অমাবস্যার আগে চতুর্দশী তিথিতে হিন্দু মতে ভূত চতুর্দশী পালন করা হয়। আগামী ২০ অক্টোবর কালীপুজো। আর তার আগে রবিবার হল ভূত চতুদর্শী। ভূত অর্থাৎ অতীত এবং চতুর্দশী অর্থাৎ কৃষ্ণপক্ষের ১৪ তম দিন। পিতৃ এবং মাতৃকুলের সাত পুরুষের উদ্দেশ্যে এদিন গৃহস্থ বাড়িতে জ্বালানো হয় ১৪ প্রদীপ। একইসঙ্গে এইদিনে রীতি রয়েছে ১৪ শাক খাওয়ারও।
হিন্দু ধর্মের প্রচলিত বিশ্বাস, এই দিনে নাকি মর্ত্যে নেমে আসেন মৃত পূর্ব পুরুষরা, তাঁদের খুশি করতে এদিন নানা আচার পালন করার প্রথাও রয়েছে। মনে করা হয়, ভূত চতুর্দশীর দিন নেগেটিভ শক্তির প্রভাব জোড়ালো থাকে, এই বিশেষ তিথিতে কিছু কাজ করলে জীবনে চরম দুর্ভোগ নেমে আসতে পারে। তাহলে জেনে নিন এদিন ভুলেও কোন কাজগুলি করা উচিত নয়-
*ভূত চতুর্দশীর দিন শ্মশান অথবা কবরস্থানের ধারে-কাছেও যেতে নিষেধ করা হয়। কারণ কথিত রয়েছে, এই সব জায়গায় ভূত চতুর্দশীতে নানা রকম নেগেটিভ শক্তি থাকে। যা জীবনে দুর্ভোগ বয়ে আনতে পারে।
*ঘরদোর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। ঘরের কোন অংশেই যেন নোংরা, ঝুল ইত্যাদি না থাকে। তবে সন্ধের পর ঝাঁড়ু দেবেন না। এতে দেবী লক্ষমী গৃহত্যাগ করে বলে প্রচলিত বিশ্বাস।
 
  
 
 *ফোঁটা ফোঁটা জল পরছে এমন কল বাড়িতে রাখবেন না। যত শীঘ্র সম্ভব নতুন কল লাগিয়ে পুরনো কলটি পাল্টে দিন। একইসঙ্গে ভাঙ্গা বা ফেটে যাওয়া আয়নায় মুখ দেখা উচিত নয়। কারণ এগুলিও অশুভ শক্তির লক্ষণ।

*রাতে রান্না করার পর রান্নাঘর নোংরা করে রাখলেই বিপদ। রান্নাঘর ও বাসনপত্র খুব ভাল করে পরিষ্কার করে রাখতে হয়।
*কালীপুজো ও ভূত চতুর্দশীর দিন সন্ধের পর যদি কাউকে দুধ বা দুধ জাতীয় কোনও জিনিস দেবেন না। কারণ এতে আপনার বাড়ি থেকে পজিটিভ শক্তি কমতে থাকবে, বাড়বে নেগেটিভ শক্তি।
*ভূত চতুর্দশীতে সন্ধের পর অবশ্যই ঘরে প্রদীপ জ্বালান। চারিদিকে আলো দিয়ে সাজান। এতে অশুভ শক্তি দূর হয় বলে বিশ্বাস। এমনকি সারারাতও চাইলে আলো জ্বালিয়ে রাখতে পারেন।
মহিলাদের ভূত চতুর্দশীর রাতে চুল খুলে ঘুমাতে নিষেধ করা হয়। এতে রুষ্ট হন মা লক্ষ্মী। ফলে ধেয়ে আসে নেগেটিভ শক্তি, ক্ষতি হতে পারে পরিবারের সদস্যদের।
