বলিউডের লাস্যময়ী মালাইকা অরোরা সম্প্রতি গোয়ায় জমকালোভাবে উদযাপন করলেন তাঁর ৫০তম জন্মদিন। ২৩ অক্টোবরের এই বিশেষ দিনে পরিবারের সদস্য এবং ঘনিষ্ঠ বন্ধুরা উপস্থিত ছিলেন তাঁর সঙ্গে। ছিলেন বোন অমৃতা অরোরা, পুত্র আরহান খান, পরিচালক ফারাহ খান-সহ আরও অনেকেই। পার্টির ভিতরের ছবি এবং ভিডিও ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।
তবে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল মালাইকার তিন-তলা জন্মদিনের কেক, যার উপর বড় অক্ষরে লেখা ছিল— ‘৫০’। আর এই সংখ্যাই শুরু করেছে নতুন বিতর্ক। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, আদৌ কি মালাইকার বয়স ৫০?
প্রকাশিত তথ্যানুসারে, মালাইকা নাকি ১৯৭৩ সালে জন্মগ্রহণ করেন, অর্থাৎ তাঁর বয়স এখন ৫২ হওয়ার কথা। নেটিজেনদের কেউ কেউ ২০১৯ সালের একটি পুরনো পোস্টও শেয়ার করেছেন, যেখানে মালাইকা নিজের ৪৬তম জন্মদিন পালন করতে দেখা গিয়েছিল। সেই হিসেব অনুযায়ী তাঁর ৫০তম জন্মদিন হওয়ার কথা ছিল ২০২৩ সালে, ফলে অনেকে টাইমলাইন নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন।
এই সমস্ত জল্পনা-কল্পনার মাঝেই বোন অমৃতা অরোরা এক আন্তরিক ইনস্টাগ্রাম পোস্টে সব জল্পনার ইতি টানেন। জন্মদিনের কেকের ছবি শেয়ার করে তিনি লেখেন, ‘এই এত বছর ধরে ‘৫০’-এর গল্প শোনার পর, অবশেষে তুমি সত্যিই ৫০-এ পৌঁছলে, আমার সুন্দর দিদি।’
আরও একটি পোস্টে অমৃতা লিখেছেন, ‘মাল্লা, অবশেষে তুমি ৫০! এর চেয়ে সুন্দর ৫০ বছর বয়সি আর কেউ হতে পারে? গত রাতটা সত্যিই জাদুকরি ছিল।’
নিজের বয়স নিয়ে যদিও মালাইকা এখনও পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করেননি, তবে ভক্তদের কাছে অমৃতার এই পোস্টই যেন সব প্রশ্নের উত্তর। আর একটা বিষয় নিশ্চিত — মালাইকার ৫০ এখনও আগের মতোই ঝলমলে এবং স্টাইলিশ।
কাজের ক্ষেত্রে মালাইকা সম্প্রতি দর্শকদের মুগ্ধ করেছেন ‘থাম্মা’র গান ‘পয়জন বেবি’তে তাঁর পারফরম্যান্সের মাধ্যমে।
মডেলিং দিয়ে কেরিয়ার শুরু করলেও মালাইকা ১৯৯৮ সালে ‘দিল সে’ ছবির ‘ছাইঁয়া ছাইঁয়া’ গানের মাধ্যমে রাতারাতি জনপ্রিয়তা পান। এরপর ‘মুন্নি বদনাম হুয়ি’, ‘অনারকলি ডিস্কো চলি’, ‘গুড় নাল ইশক মিঠা’র মতো অসংখ্য আইকনিক আইটেম নাম্বারে তিনি নিজের অদ্ভুত নাচ এবং গ্ল্যামার দিয়ে দর্শকদের মুগ্ধ করেছেন।
কিন্তু মালাইকার পরিচয় শুধুই একজন আইটেম গার্ল বা ফ্যাশন ডিভা নয়। তিনি একজন সফল উদ্যোক্তাও। ডিভা যোগা নামের নিজের ফিটনেস ব্র্যান্ডের মাধ্যমে মালাইকা যোগব্যায়াম এবং সুস্থ জীবনযাপনের বার্তা ছড়িয়ে দিয়েছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর ফিটনেস ভিডিও, যোগাসনের টিপস এবং ডায়েট রুটিন অসংখ্য মানুষকে অনুপ্রাণিত করে।
ব্যক্তিগত জীবনে মালাইকা সবসময়ই ছিলেন স্পষ্টবাদী। নিজের সম্পর্ক, বিচ্ছেদ বা ক্যারিয়ার পছন্দ—সব কিছু নিয়েই তিনি খোলামেলা মনোভাব দেখিয়েছেন। আরবাজ খানের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের পরও তিনি নিজের জীবনের প্রতিটি অধ্যায়কে মর্যাদার সঙ্গে এগিয়ে নিয়েছেন।
