আজকাল ওয়েবডেস্ক: হেনলি অ্যান্ড পার্টনার্স, বিনিয়োগের মাধ্যমে বসবাস এবং নাগরিকত্বের জন্য বিশ্বব্যাপী পরামর্শদাতা প্রতিষ্ঠান এক অবাক করা তথ্য এনেছে প্রকাশ্যে। আর তথ্য সামনে আসার পর থেকেই একপ্রকার হইচই। 

কী এমন রয়েছে ওই তথ্যে? যা দেশে শোরগোল বিশ্বের নানা মহলে। সূত্রের খবর, ওই সংস্থার তথ্য, ২০২৫ সালে কমপক্ষে ১,৪২,০০০ কোটিপতির নতুন দেশে চলে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। হেনলি প্রাইভেট ওয়েলথ মাইগ্রেশন রিপোর্ট ২০২৫ অনুসারে, এই হাই-নেট-ওর্থ-ইনডিভিজুয়ালস(HNWIs)-এর সংখ্যা যাদের নগদ সম্পদের পরিমাণ ১ মিলিয়ন ডলারের বেশি - ২০২৬ সালে তা বাড়বে আরও ব্যাপক হারে।

ওই সংস্থার তথ্য, সংযুক্ত আরব আমিরাত এই মুহূর্তে বিশ্বের বৃহত্তম সম্পদের চুম্বক হিসেবে আলোচনার মধ্যমণি। তাদের হিসেব, চলতি বছর রেকর্ড ৯,৮০০ কোটিপতি সে দেশে যাবেন। তবে কেবল ওই এক দেশ নয়, তালিকা লম্বা। জানা যাচ্ছে, টাকার পরিমাণ একটু বেশি হলেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইতালি, সুইজারল্যান্ড এবং সৌদি আরবও কোটিপতিদের পছন্দের গন্তব্যস্থলগুলির মধ্যে রয়েছে।

তবে পছন্দের তালিকায় সবথেকে উপরে আরব আমিরাত। ২০২৫ সালে অন্তত ৯,৮০০ জন হাই-নেট-ওর্থ-ইনডিভিজুয়ালস সেখানে বসবাস শুরু করবে বলে মনে করা হচ্ছে। যা গত বছরের থেকে অনেকটা বেশি। ২০২৪-এ ৬,৭০০ জন কোটিপতি সেখানে গিয়েছিলেন। 

কোটিপতিদের আগমনের দিক থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দ্বিতীয় স্থানে থাকবে বলে ধারণা। সেখানে আনুমানিক ৭,৫০০ জন নতুন কোটিপতি বসবাস শুরু করবেন বলে মনে করছে ওই সংস্থা। ইতালি তৃতীয় স্থানে এবং সুইজারল্যান্ড চতুর্থ স্থানে থাকার সম্ভাবনা।

 

কিন্তু পছন্দের তালিকার শীর্ষে কেন এই দেশ?

স্বাগতপূর্ণ অভিবাসন নীতি, শূন্য আয়কর, বিশ্বমানের অবকাঠামো এবং রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা সংযুক্ত আরব আমিরাতকে HNW-দের জন্য পছন্দের গন্তব্য করে তুলেছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের ২০১৯ সালে চালু হওয়া গোল্ডেন ভিসা প্রোগ্রাম চালু হয়েছিল, যোগ্যতা বৃদ্ধির জন্য ২০২২ সালে পরিবর্তন করা হয়েছে। তাতেই অনেকবেশি সুবিধা হয়েছে ধনীব্যক্তিদের।