ফ্যাশন ট্রেন্ড যেন রোজই বদলায়। আর বাঙালিরা পুজোর সাজে সেই ট্রেন্ড ষোলোআনা বজায় রাখতে চায়! তবে সাবেকি সাজ হোক কিংবা ইন্দো-ওয়েস্টার্ন, বনেদি লুক থেকে আধুনিকা— পুজো মানেই মেয়েদের শাড়ির সাজ থাকা চাই। কিছুদিন আগেও এক রঙের শাড়ি ও ব্লাউজ পরার চল ছিল। এখন তার ধারেকাছেও যেতে চান না কেউ। ইদানিং ম্যাচিংয়ের জায়গা দখল করেছে কনট্রাস্ট রং।


আসলে মোটামুটি সব শাড়ির সঙ্গেই যেহেতু ব্লাউজ পিস থাকে, তাই অনেক সময়ে অন্য রঙের ব্লাউজ পরার কথা চট করে মাথায় আসে না। তবে এবারের পুজোয় যদি শাড়ির সাজে অন্যরকম লুক আনতে চান তাহলে অবশ্যই রাখুন কনট্রাস্ট ব্লাউজ। যেমন গোলাপি রঙের শাড়ির সঙ্গে মানাবে রয়্যাল নীল বা সবুজ রঙের ব্লাউজ। এছাড়াও হলুদ বা কোরাল, ধূসর বা রুপোলি রঙের ব্লাউজও পরতে পারেন। কোরাল রঙের ব্লাউজের সঙ্গে সবুজ শাড়িও নজর কাড়বে। যে কোনও শেডের সবুজের সঙ্গে সবচেয়ে ভালো মানায় লাল বা বেগুনি। খানিকটা অন্য ধরনের লুকের জন্য গোলাপি ও হলুদ, সাদা বা ক্রিম রঙের ব্লাউজও পরতে পারেন। 

হলুদ রঙের শাড়ির সঙ্গে পারফেক্ট নীল বা গাঢ় রঙের যে কোনও ব্লাউজ। কালো, সবুজ ও লাল রংও পরতে পারেন।  লাল  এমন একটি আকর্ষণীয় রং যার সঙ্গে যে কোনও রঙের ব্লাউজই ভাল মানায়। তবে একটু অন্যরকম সাজতে চাইলে পরতেই পারেন কালো বা ঘিয়ে রঙের ব্লাউজ। খয়েরি রংটি যেহেতু নিজেই খুব গাঢ়, তাই সাদা বা ঘিয়ের মতো হালকা রং ব্লাউজ পরুন। এছাড়াও কালো বা সোনালি রংও পরতে পারেন। 

শুধু রং নয়, কোন শাড়ির সঙ্গে কেমন ধরনের ব্লাউজ পরছেন তাও সঠিকভাবে না বাছলে সাজ অসম্পূর্ণই থেকে যাবে। অর্থাৎ জামদানির সঙ্গে যেমন ব্লাউজ মানাবে, জর্জেট কিংবা সিফন শাড়ির সঙ্গে তেমন ব্লাউজ পরলে সব সাজই মাটি! তাই এবারের পুজোয় শাড়ি বুঝে তাঁর ব্লাউজের রং, ধরন বেছে পরুন। তবেই আপনার সাজ নজর কাড়বে সকলের।