আজকাল ওয়েবডেস্ক: গুরুকে পা ছুঁয়ে গুরুদক্ষিণা শিষ্যার। 

সময়-যুগ বদলালেও, হরমনপ্রীত দেখিয়ে দিলেন যতই উত্তর আধুনিকতা আসুক, যতই পরিবর্তনের পথে এগোক দেশ, দেশের সংস্কৃতি একই আছে। বদলায়নি একটুও। গুরুর পা ছুঁয়ে প্রণাম করলেন ভারত অধিনায়ক। যা ভারতীয় সংস্কৃতিরই নিদর্শন। অমল মুজুমদার ও হরমনপ্রীতের সম্পর্ক কেবল কোচ আর অধিনায়কের মতো নয়। তাঁদের রয়াসন আরও গভীর। হরমনপ্রীতদের চাণক্য অমল মুজুমদার। খেলোয়াড় জীবনে দারুণ প্রতিভাবান ছিলেন। কিন্তু যে ফুল পাপড়ি কোনওদিন মেলল না। অমল মুজুমদারের খেলোয়াড়িজীবনের অপূর্ণতা অবশেষে দূর হল রবি-রাতে। তাঁর পাওয়ার কলস পূর্ণতা পেল অবশেষে। 

 

?ref_src=twsrc%5Etfw">November 3, 2025

অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সেমিফাইনালে  অমল মুজুমদারের পেপটক কাজ করেছিল। সেই অমলের প্রতি শ্রদ্ধা উজাড় করে ভারত অধিনায়ক হরমনপ্রীত বললেন, ''গত আড়াই বছর ধরে  স্যরের অবদান অসাধারণ। তিনি আসার পর সবকিছু স্থিতিশীল এবং মসৃণ হয়ে ওঠে। তিনি আমাদের দিনরাত অনুশীলন করিয়েছিলেন, উন্নতির প্রয়োজন ছিল তা বারংবার আমাদের কানে মন্ত্রের মতো বলে গিয়েছেন। স্যরের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পেয়ে আমরা সত্যিই খুশি।'' 

অমল মুজুমদার এতদিনে  ন্যায়বিচার পেলেন! ভারতীয় দলের পোশাক কোনওদিন পরাই হয়নি তাঁর। অথচ ঘরোয়া ক্রিকেটে সাড়া জাগানো এক নাম ছিলেন অমল। দারুণ প্রতিভাবান। সবাই বলতেন, অমলকান্তি রোদ্দুর হতে চেয়েছিল। সেই অমল বলছেন, ''আমি দায়িত্ব নেওয়ার পরই হরমনকে ফোন করি। ও তখন অস্ট্রেলিয়ায় ছিল। কীভাবে অগ্রসর হতে চাই, সেটা জানাই ওকে। নেতা হিসেবে ওর উপরে আমার শ্রদ্ধা রয়েছে।'' 

কুড়ি বছর বয়সে অমল প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট শুরু করেন ডাবল হান্ড্রেড করে। তাঁর গাণ্ডীব কথা বলত। সবাই ধরেই নিয়েছিলেন যে ভারতীয় দলে তাঁর জায়গা পাওয়া কেবল সময়ের অপেক্ষা। কিন্তু যা ভাবা যায় তা সব সময়ে হয় না। জাতীয় দলের হয়ে খেলা নাইবা হল। মহিলাদের বিশ্বজয়ের নেপথ্য নায়ক তিনি। হরমনপ্রীত সেই কারণেই পা ছুঁয়ে গুরুকে প্রণাম করলেন।