মিল্টন সেন, হুগলি: ঠাকুর দেখে ফেরার পথে রাতের জগদ্ধাত্রী স্পেশাল ট্রেনে ছিনতাই। বাধা দেওয়ায় যাত্রীকে বেধড়ক মারধর। অন্য যাত্রীরা বোঝার আগেই, ট্রেন থেকে লাফিয়ে নেমে চম্পট দেয় দুই দুষ্কৃতী। ঘটনায় গতকাল রাতেই অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে ব্যান্ডেল জিআরপি থানায়।
ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার রাত দু'টো নাগাদ। হুগলি এবং ব্যান্ডেল স্টেশনের মাঝে হাওড়া-ব্যান্ডেল জগদ্ধাত্রী স্পেশাল লোকালে। চন্দননগরে ঠাকুর দেখে রাতের ওই ট্রেনে বাড়ি ফিরছিলেন ব্যান্ডেল সাহেব বাগান এলাকার বাসিন্দা নীলাঞ্জন দে। নীলাঞ্জন জানিয়েছেন, তিনি ট্রেনের জানালার পাশের সিটে বসেছিলেন। ট্রেন চন্দননগর ছাড়ার সময় অনেক যাত্রী ছিলেন। চুঁচুড়া এবং হুগলি স্টেশনে বগি খালি হয়ে যায়। বগির অপরদিকে শেষ প্রান্তে বসে ছিলেন জনা তিনেক যুবক। হুগলি ছেড়ে ব্যান্ডেল ঢোকার আগে ট্রেন দাঁড়ায়। তখন দুই দুষ্কৃতী তাঁর দিকে খৈনি চাওয়ার অজুহাতে এগিয়ে আসে। নীলাঞ্জন তখন না করে দেন।
তার মধ্যেই নীলাঞ্জনের পকেটে থাকা মোবাইল ফোন তুলে নেয় এক দুষ্কৃতী। বাধা দিতেই শুরু হয় মারধর। এক দুষ্কৃতীকে ধরে ফেলেন নীলাঞ্জন। তখন অন্য এক দুষ্কৃতী নীলাঞ্জনকে মারধরের হুমকি দেয়। এরই মাঝে শব্দ পেয়ে ওই বগির শেষ প্রান্তে বসে থাকা তিন যুবক ছুটে আসেন। তখন বিপদ বুঝতে পেরে কোনওরকমে ছাড়িয়ে ট্রেন থেকে লাফিয়ে নেমে চম্পট দেয় দু'জন। লাফিয়ে নামার সময় নীলাঞ্জনের হাতের বাজুতে থাকা রুপোর চেন ছিঁড়ে নিয়ে যায়।
ট্রেন ব্যান্ডেল পৌঁছনোর পর রাতেই নীলাঞ্জন ব্যান্ডেল জিআরপি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ব্যান্ডেলের যাত্রীমহলে। যাত্রীদের অভিযোগ, জগদ্ধাত্রী স্পেশাল ট্রেন চালু হল, অথচ সেই ট্রেনে যাত্রী নিরাপত্তার এই হাল। যাত্রীমহলে বিশেষ করে প্রশ্ন উঠেছে ব্যান্ডেল জিআরপি থানার ভূমিকা নিয়ে।
