আজকাল ওয়েবডেস্ক: নির্মীয়মাণ একটি বাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্কের ভেতর থেকে এক যুবকের মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়াল মুর্শিদাবাদের জলঙ্গি থানা এলাকায়। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার রাতে জলঙ্গি থানার অন্তর্গত ফরিদপাড়া -কাটাদাড়া গ্রামে।
শনিবার রাত দশটা নাগাদ মনিরুল ইসলাম (২৩) নামে ওই এক যুবককে নিজের বাড়ি থেকে ২০০ মিটার দূরে নির্মীয়মাণ একটি বাড়ির সেপটিক চেম্বারের ভেতর মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন গ্রামবাসীরা। মৃত ওই যুবকের পরিবারের অভিযোগ তাঁদের বাড়ির ছেলেকে খুন করে সেপটিক চেম্বারের মধ্যে ফেলে দেওয়া হয়েছে। কীভাবে ওই যুবকের মৃত্যু হয়েছে তা তদন্ত করে দেখছে জলঙ্গি থানার পুলিশ। ইতিমধ্যে দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় সূত্র জানা গেছে- শনিবার রাত ন'টা নাগাদ কিছু কাজের জন্য বাড়ি থেকে বার হন মনিরুল ইসলাম। এর প্রায় এক ঘণ্টা বাদে তাঁর পরিবারের লোকজন খবর পায় তাঁকে একটি নির্মীয়মাণ বাড়ির সেপটিক চেম্বারের মধ্যে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে। নির্মীয়মাণ ওই বাড়ির মালিক প্রতিদিন রাতের বেলায় নিজের বাড়িটি দেখতে আসতেন। নিত্যদিনের মত গতকাল রাতে তিনি যখন নিজের বাড়ি দেখতে আসেন তখন তাঁর নজরে আসে সেপটিক চেম্বারের মধ্যে একটি টর্চ লাইটের আলো জ্বলছে। এরপর কাছে গিয়ে তিনি দেখতে পান একজন যুবক সেপটিক চেম্বারের মধ্যে পড়ে রয়েছেন।
এরপরই তিনি গোটা ঘটনার খবর প্রতিবেশীদেরকে জানান। তাঁরা এসে সেপটিক চেম্বারে নেমে ওই যুবককে সেখান থেকে তুলে এনে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানেই চিকিৎসকরা মনিরুলকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। গ্রামবাসীদের অনুমান সেপটিক চেম্বারের মধ্যে পড়ে গিয়ে মনিরুল গুরুতর আঘাত পেয়েছিল অথবা সেখানে জমে থাকা গ্যাসে দম বন্ধ হয়েই তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
