আজকাল ওয়েবডেস্ক: উত্তরবঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ভাড়া করা গাড়িতে করে গাঁজা পাচার করার সময় রবিবার সকালে মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হলেন ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের এক চুক্তিভিত্তিক কর্মী। 

 

রবিবার সকালে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ মঙ্গলজোন এলাকায় একটি ধাবার সামনে গাড়িটিকে আটক করে। জঙ্গিপুর পুলিশ জেলার সুপার আনন্দ রায় জানান, 'গাড়িটিতে তল্লাশি চালিয়ে ১২২ কেজি গাঁজা উদ্ধার হয়েছে। গাঁজা পাচারের জড়িত থাকার অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধৃত ব্যক্তি কোথায় এই গাঁজা পাচার করছিল তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।' 

 

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে -গাঁজা পাচার চক্রের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ওই গাড়ির ড্রাইভার অনিল চন্দ্র দে-কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধৃত ব্যক্তির বাড়ি কোচবিহার জেলায়। জঙ্গিপুর পুলিশ জেলার এক আধিকারিক জানান- রবিবার সকালে তাঁরা গোপন সূত্রে খবর পান অনিল চন্দ্র দে উত্তরবঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাড়া করা একটি গাড়ি নিজে চালিয়ে বিপুল পরিমাণ গাঁজা নদিয়া জেলার চাকদহ নিয়ে যাচ্ছেন। গাড়িটি ১২ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর মঙ্গলজোন এলাকার কাছাকাছি পৌঁছালে পুলিশ সেটিকে আটক করে। এরপর গাড়িতে থাকা চারটি বস্তাতে তল্লাশি চালাতেই উদ্ধার হয় বিপুল পরিমাণ গাঁজা। 

 

পুলিশের ওই আধিকারিক জানান -প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধৃত অনিল চন্দ্র দে স্বীকার করেছেন তিনি নিজেই এই গাঁজা পাচার করছিলেন। চাকদহের কোনও এক ব্যক্তির হাতে এই গাঁজা তার তুলে দেওয়ার কথা ছিল। উদ্ধার হওয়া গাঁজার মূল্য আন্তর্জাতিক বাজারে প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।  

 

পুলিশ আরও জানতে পেরেছে -যে গাড়িটিতে গাঁজা পাচার করা হচ্ছিল তা উত্তরবঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক আধিকারিক ব্যবহার করেন। গাড়িটির মালিক অনিলের পরিবারের এক সদস্য। অনিলবাবু নিজে ওই কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন চুক্তিভিত্তিক কর্মী। 

 

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে- গাড়িটি থেকে যে গাঁজা উদ্ধার হয়েছে সম্প্রতি তা উত্তর-পূর্ব ভারতের একটি রাজ্য থেকে পাচার হয়ে কোচবিহার জেলাতে এসেছিল। এরপর অনিলবাবু এক ব্যক্তির কাছ থেকে ওই গাঁজা কিনে নিজে চাকদহ এলাকার এক ব্যক্তির কাছে পাচার করার চেষ্টা। করছিলেন। ধৃত ব্যক্তিকে আজই পুলিশি হেফাজতের আবেদন করে জঙ্গিপুর আদালতে পেশ করা হচ্ছে।