আজকাল ওয়েবডেস্ক: রাস্তার উপরে প্রতিবেশী বাবা-ছেলে লাঠি দিয়ে সন্তানসম্ভবা একটি পথকুকুরকে মারছিলেন। প্রতিবাদ করায় পশুপ্রেমী মহিলাকেও তাঁরা রেয়াত করলেন না। যে লাঠি দিয়ে কুকুরটিকে মারছিলেন সেই লাঠি দিয়ে রাস্তার উপরে ফেলে তাঁকেও মারধর করা হল। টানাহ্যাঁচড়া করা হল তাঁর পোশাক নিয়েও। আক্রান্ত মহিলা বনগাঁ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ সুদীপ্ত ঘোষ নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানা গিয়েছে, বনগাঁর সুভাষপল্লি এলাকার এক মহিলা দীর্ঘদিন ধরে পথকুকুরদের পরিচর্যা করেন। তিনি ওই কুকুরদের খেতে দেন। অসুস্থ হলে তিনি তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থাও করেন। বুধবার রাতে কাজ সেরে বাড়ি ফেরার পথে ওই মহিলা দেখেন, বিজয় ঘোষ ও সুদীপ্ত ঘোষ নামে প্রতিবেশী বাবা-ছেলে সন্তানসম্ভবা একটি পথকুকুরকে মোটা লাঠি দিয়ে পেটাচ্ছেন। সঙ্গে সঙ্গে তিনি তার প্রতিবাদ করেন। অভিযোগ, বিজয় ও সুদীপ্ত তখন কুকুর ছেড়ে ওই লাঠি দিয়ে তাঁকেও মারধর করেন। আরও অভিযোগ, বাবা-ছেলে ওই মহিলার পোশাক নিয়েও টানাটানি করেন। পশুপ্রেমী ওই মহিলা রাতেই বনগাঁ থানায় বিজয় ও সুদীপ্তের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। ঘটনার তদন্ত নেমে পুলিশ বৃহস্পতিবার সকালে সুদীপ্তকে গ্রেফতার করেছে। তাঁর বাবা বিজয় পলাতক। তাঁর খোঁজে তল্লাশি চলছে।
আক্রান্ত পশুপ্রেমী মহিলা বলেন, 'রাতে কাজ সেরে বাড়ি ফেরার পথে দেখতে পাই, প্রতিবেশী বাবা-ছেলে সন্তানসম্ভবা একটি কুকুরকে মোটা লাঠি দিয়ে মারধর করছে। আমি তার প্রতিবাদ করি। বাবা-ছেলে তখন কুকুর ছেড়ে আমাকে মারধর করা শুরু করে। আমার পোশাক ছিঁড়ে দেওয়া হয়েছে। সুবিচারের দাবিতে আমি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি।'
বনগাঁ স্ট্রিটডগ লাভার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক তন্ময় দাস বলেন, 'অনেকেই আছেন অবিবেচকের মতো পথকুকুরদের মারধর করেন। কালীপুজোর সময় দেখেছি, কুকুরের গায়ে কেউ কেউ বাজি ফাটিয়েছেন। গলির মধ্যে পথকুকুররা সন্তান প্রসব করলে অনেকেই বস্তায় ভরে তাদের পরিত্যক্ত জায়গায় ফেলে আসেন। আমরা সে সব কাজের বিরুদ্ধে মানুষকে সচেতন করার চেষ্টা করছি। সন্তানসম্ভবা পথকুকুরকে মারধর করার প্রতিবাদ করায় সুভাষপল্লিতে এক মহিলাকে মারধর করা হয়েছে। পুলিশের কাছে আমরা সে ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন করেছি।'
