আজকাল ওয়েবডেস্ক: অনেক মানুষ ক্রেডিট কার্ডের উপর নির্ভরশীল। বছরের পর বছর ধরে, ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে অর্থ লেনদেন উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু আপনি কি কখনও ভেবে দেখেছেন, কীভাবে ব্যাঙ্ক ক্রেডিট কার্ড থেকে মুনাফা অর্জন করে? 

ক্রেডিট কার্ড থেকে ব্যাঙ্কের আয়ের একাধিক উপায় রয়েছে। একটি কার্ড সম্পর্কিত একাধিক চার্জ একটি ব্যাঙ্কের আয়ের উৎস।

শুধু তাই নয়, যদি আপনি নিয়মিত সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কের ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করেন, তাহলে ব্যাঙ্কগুলিও আপনাকে ব্যাপক ক্যাশব্যাক অফার এবং ছাড়ও দেয় । কিন্তু আপনি কি কখনও ভেবে দেখেছেন, এই ব্যাঙ্কগুলি এই ধরনের ছাড় থেকে কীভাবে লাভ করে? আসুন জেনে নেওয়া যাক।

ক্রেডিট কার্ড থেকে ব্যাঙ্ক কীভাবে আয় করে?

১. মার্চেন্ট ফি
আপনি যখনই কোনও পেমেন্ট করার জন্য ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করেন, তখন ব্যাঙ্কগুলি একটি মার্চেন্ট ফি নেয়। মার্চেন্ট ফি হল এমন একটি ফি যা ব্যাঙ্কগুলি তাদের পরিকাঠামো, নিরাপত্তা এবং লেনদেন প্রক্রিয়াকরণের খরচ মেটাতে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে নিয়ে থাকে। এই ফি সাধারণত দুই থেকে তিন শতাংশ পর্যন্ত হয়।

২. ক্রেডিট কার্ডের উপর সুদ
আপনি যখন আপনার ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে ক্রেডিট দিয়ে কিছু কিনেন, তখন ব্যাংক আপনাকে টাকা পরিশোধের জন্য ৪৫ দিন সময় দেয়। এই ৪৫ দিনের মধ্যে, ব্যাঙ্ক কোনও সুদ নেয় না। তবে, যদি নির্ধারিত তারিখের পরে টাকা পরিশোধ না করা হয়, তাহলে ব্যাঙ্ক সুদ নেওয়া শুরু করে। এই সুদের হার বার্ষিক ৩০ থেকে ৩৮ শতাংশ পর্যন্ত হয়। তদুপরি, আপনি যদি ইএমআই দেন, তাহলে ব্যাঙ্ক একটি উল্লেখযোগ্য সুদের হার চার্জ করে এবং রাজস্ব আয় করে।

৩. মার্কেটিং টাই-আপ চার্জ
ব্যাঙ্কগুলি অনেক কোম্পানির সঙ্গে মার্কেটিং টাই-আপ ফিও নেয়। এর অর্থ হল, আপনি যদি কোনও কোম্পানি থেকে কিছু কিনেন, তাহলে তারা আপনাকে পেমেন্ট পদ্ধতি হিসাবে একটি নির্দিষ্ট ব্যাঙ্কের ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করার জন্য ছাড় দেয়। ব্র্যান্ডগুলি আরও বেশি গ্রাহকের কাছে পৌঁছানোর জন্য এই ছাড়গুলি ব্যবহার করে। আপনি যখন ক্রেডিট কার্ড দিয়ে কেনাকাটায় ছাড় পান, তখন লোকেদের পরবর্তী কেনাকাটার জন্য ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করার সম্ভাবনা বেশি থাকে।

আরও পড়ুন- ভারতে হবে ‘ডিজিটাল পেমেন্ট ইকোসিস্টেম’, কীভাবে কাজ করবে জানিয়ে দিল এনপিসিআই