আজকাল ওয়েবডেস্ক: লামিনে ইয়ামালের পারফরম্যান্সে হঠাৎ করেই যেন ভাটার টান। বার্সেলোনার সবশেষ ম্যাচ ক্লাসিকোয় একেবারে বর্ণহীন ছিলেন এই তারকা ফরোয়ার্ড। কারণটা কী? পরিষ্কার একটা উত্তর মিলল চিকিৎসক পেদ্রো লুইস রিপোলির কথায়, কাতালান ক্লাবটির জন্য যা মোটেও সুখকর কিছু নয়।

মৌসুমের প্রথম ক্লাসিকোয় গত রোববার রেয়াল মাদ্রিদের মুখোমুখি হয় বার্সেলোনা। গত মৌসুমের চার ক্লাসিকোয় জয়ের আত্মবিশ্বাসে এবারও চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের বিপক্ষে জয়ের আশায় ছিল হান্সি ফ্লিকের দল। তাদের সেই স্বপ্ন অনেকটাই ইয়ামালকে ঘিরে ছিল, যিনি প্রত্যাশার অর্ধেকও পূরণ করতে পারেননি।


ফলাফল, সান্তিয়াগো বের্নাবেউয়ে ম্যাচটি ২-১ গোলে হেরে যায় লা লিগার বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।

এরপর থেকেই নানা আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে ইয়ামালের পারফরম্যান্স নিয়ে। এত গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে এতটা সাদামাটা কেন ছিলেন এবারের ব্যালন দ’রের লড়াইয়ে দ্বিতীয় হওয়া তারকা।

 

 

প্রতিপক্ষের কড়া পাহাড়ায় তো ছিলেনই, এছাড়াও মুভমেন্টে তাকে ভুগতে দেখা গেছে। হঠাৎ গতি বাড়িয়ে, প্রতিপক্ষকে ফাঁকি দিয়ে জায়গা বানিয়ে গতিময় শট নেওয়ার তার যে অসাধারণ স্কিল, তা এই ম্যাচে একদমই দেখা যায়নি।


বিশেষজ্ঞদের মতামত, দীর্ঘস্থায়ী যে কুঁচকির সমস্যায় ভুগছেন ইয়ামাল, এটা তারই ফল। এই চোট সাম্প্রতিক সময়ে তার মাঠে প্রভাববিস্তারী সক্ষমতাকে সীমিত করে তুলেছে।

 

ক্রীড়া জগতের সুপরিচিত ট্রমাটোলজিস্ট লুইস রিপোলিও তেমনটাই জানালেন।


“এটা এমন এক চোট, সত্যি বলতে এর চিকিৎসা বেশ কঠিন। এর ব্যথার কারণে খেলোয়াড়ের মুভমেন্ট ও শট নেওয়ার সামর্থ্য ৫০ ভাগ কমে যায়, ক্লাসিকোয় সেটাই আমরা দেখেছি।”

“গোলের জন্য খুব কমই সে শট নিয়েছে, স্বাভাবিক গতিতে দৌড়াতেও তার সমস্যা হচ্ছিল…এই ব্যথা নিয়ে একজন খেলোয়াড় ম্যাচ খেলতে পারে, কিন্তু সে তার সেরাটা দিতে পারে না এবং উল্লেখযোগ্যভাবে তার পারফরম্যান্সের মান হ্রাস পায়।”

 


ইয়ামালের এই চোট সমস্যা মাথাচাড়া দেয় গত মাসে, জাতীয় দল থেকে ফেরার পর। তার চোটে পড়া নিয়ে জাতীয় দলের দিকে সরাসরি অভিযোগও করেন বার্সেলোনা কোচ ফ্লিক।


চলতি মৌসুমে প্রথম আড়াই মাসেই দুই দফায় চোটে পড়েছেন ইয়ামাল। এখন জানা গেল তার চোটের দীর্ঘস্থায়ী প্রভাবের কথা, যা স্পেন জাতীয় দল ও বার্সেলোনার জন্য খুবই দুর্ভাবনার।


রিপোলি এটাও স্পষ্ট করেছেন যে, ১৮ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ডকে যদি ঠিকঠাক যত্ন না নেওয়া হয়, তাহলে তার পুরোপুরি সেরে উঠতে কয়েক সপ্তাহ এমনকি কয়েক মাসও লেগে যেতে পারে।