আজকাল ওয়েবডেস্ক: স্পিড গানে আবার উঠতে পারে ঝড়। গতি আর বাউন্সে ভড়কে যেতে পারেন ব্যাটসম্যানরা। আনরিখ নরকিয়া যে ফিরছেন! অবশ্য কোন রূপে ফিরবেন, তা বোঝা যাবে সময়েই। আপাতত বড় খবর, দীর্ঘ প্রতীক্ষার প্রহর পেরিয়ে চোটের থাবা কাটিয়ে পুরোপুরি ফিট হয়ে মাঠে ফিরছেন দক্ষিণ আফ্রিকার গতি তারকা।
ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকা টি-টোয়েন্টি চ্যালেঞ্জে ডারবানের দল ডলফিন্সের হয়ে ফিরছেন নরকিয়া। টুর্নামেন্ট শুরু বুধবার থেকে। ডলফিন্সের প্রথম ম্যাচ শনিবার। এই ম্যাচ দিয়ে পাঁচ মাসের বেশি সময় পর তাকে দেখা যেতে পারে মাঠে।
নরকিয়া সবশেষ খেলেছেন আইপিএলে। তবে কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে স্রেফ দুটি ম্যাচেই তিনি খেলতে পেরেছিলেন। ওই টুর্নামেন্টের আগে চোটের কারণে লম্বা সময় তিনি ছিলেন বাইরে। টুর্নামেন্টের পরে তো চোটের কারণে ভুগতে হয়েছেই। গত ডিসেম্বরে আবু ধাবি টি-টেন ক্রিকেট খেলার পর সব ধরনের ক্রিকেট মিলিয়ে স্রেফ আইপিএলের দুটি ম্যাচই তিনি খেলতে পেরেছেন।
দক্ষিণ আফ্রিকার জার্সিতে তাকে সবশেষ দেখা গেছে প্রায় দেড় বছর আগে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে। ওই আসরে অসাধারণ বোলিং করে দলের সাফল্যে বড় অবদান রাখলেও পরে আর দেশের হয়ে মাঠে নামতে পারেননি তিনি। তার সবশেষ ওয়ানডে খেলার দুই বছর পেরিয়ে গেছে, সবশেষ টেস্ট ম্যাচের তিন বছর হতে চলেছে।
গত দক্ষিণ আফ্রিকান মৌসুমে অবশ্য তাকে টেস্টে ফেরানোর বিবেচনা করছিল প্রোটিয়া নির্বাচক কমিটি। কিন্তু পায়ের অগ্রভাগের চোটে তিনি ছিটকে পড়েন। সেই চোট কাটিয়ে উঠে পরে আবার পিঠের চোটে পড়েন। ক্যারিয়ারজুড়েই এভাবে চোটের পর চোট তাকে থমকে দিয়েছে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তো বটেই, গত এসএ টোয়েন্টিও তিনি খেলতে পারেননি।
এবার ঠিক এসএ টোয়েন্টির আগেই তিনি ফিরছেন মাঠে। সামনে আবার আরেকটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। নরকিয়া অবশ্য অতকিছু ভাবছেন না। ৩১ বছর বয়সী ফাস্ট বোলার আপতিত মাঠে ফিরতেই মুখিয়ে। শেষ কয়েক দিনের অপেক্ষাই বরং তার কাছে বেশি যন্ত্রণার।
“ব্যক্তিগত দিক থেকে ও দলীয় দিক থেকে, মাঠে ফিরতে পারাটা হতে যাচ্ছে দারুণ। আমি সবসময়ই ইতিবাচক, সবসময়ই উজ্জীবিত এবং বরাবরই রোমাঞ্চিত। তবে পুনর্বাসনের শেষ পর্যায়ে এসে মাঠে নামতে আর তর সয় না, কারণ মনের মধ্যে জানা থাকে, সামনে কী অপেক্ষায়। আগের মাসগুলোর তুলনায় তাই গত দুই সপ্তাহই ছিল বেশি যন্ত্রণাময়।”
এক মাসের টুর্নামেন্টে আট দল পরস্পরের সঙ্গে খেলবে একবার করে। ফাইনাল আগামী ৩০ নভেম্বর। একটি দল সর্বোচ্চ খেলতে পারবে ১০ ম্যাচ। চোট কাটিয়ে ফিরে নরকিয়া হয়তো সব ম্যাচই খেলতে পারবেন না। তবে যত ম্যাচই হোক, তার পারফরম্যান্সে নিশ্চিতভাবে নজর থাকবে জাতীয় দলের টিম ম্যানেজমেন্ট ও নির্বাচকদের।
