আজকাল ওয়েবডেস্ক: যারা সদ্য বিয়ে করেছেন তারা প্রথম থেকেই চাইবেন যাতে নিজের ভবিষ্যত ভাল করে গড়ে তোলা যায়। এখানে বেশ কয়েকটি নিয়ম তাদেরকে মেনে চলতে হবে। যদি সেগুলি সঠিকভাবে মেনে চলা যায় তাহলে সেখান থেকে তারা মাত্র ১০ বছরেই কোটিপতি হতে পারবেন।
বিয়ের শুরু থেকেই দেখা যায় খরচের দিকে তারা বেশি জোর দেন। সেখানে অনেক সময় হিসেব না রেখে তারা খরচ করতে থাকেন। তবে যদি নিজেকে গুছিয়ে নিতে হয় তাহলে সেখান থেকে এই নিয়ম মানলে হবে না। প্রথম থেকেই যদি দুজনে একটি হিসেব করে চলতে পারেন তাহলে সেখান থেকে একটি নির্দিষ্ট সময় পর তারা ভাল টাকা জমিয়ে ফেলতে পারবেন।
আরও পড়ুন: স্টারলিঙ্কের ইন্টারনেট ব্যবহার করতে হলে লাগবে মাত্র একটিমাত্র ডকুমেন্ট, জেনে নিন কোনটি
এখানে আপনাদের একটি হিসেব দেওয়া হল যেখানে আপনারা যদি মাসে দুজনে মিলে মাসে দেড় লাখ টাকা আয় করেন তাহলে সেখানে তারা কীভাবে ১০ বছরের মধ্যেই কোটিপতি হতে পারবেন।
মাসিক আয় ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা। স্বাস্থ্য বিমাতে খরচ হবে মাসে ৩ হাজার ৫০০ টাকা। টার্ম ইনসুরেন্সে খরচ হবে মাসে ৩৫০০ টাকা। ভাড়া এবং অন্য খরচে ব্যয় হবে মাসে ৬০ হাজার টাকা। গাড়ি এবং বাড়ির যদি লোন থাকে তাহলে সেখানে খরচ হবে ৩০ হাজার টাকা। এই সমস্ত কাজ যদি আপনি করে থাকেন তাহলে সেখান থেকে আপনার খরচ হবে মাসে মোট ৯৭ হাজার টাকা।
এবার আপনার হাতে রইল মাসে ৫৩ হাজার টাকা। তাকে আপনাকে সঠিকভাবেই ব্যবহার করতে হবে। এই কাজে চলাতে হলে আপনাকে এবার হিসেব করেই চলতে হবে। এখানে আপনাকে মিউচুয়াল ফান্ডে শর্ট টার্ম গোলে বিনিয়োগ করতে হবে মাসে ১৫ হাজার টাকা। হাইব্রিড ফান্ডে মিডিয়াম টার্মে বিনিয়োগ করতে হবে মাসে ১৫ হাজার টাকা। এসআইপি-তে আপনাকে বিনিয়োগ করতে হবে মাসে ২০ হাজার টাকা। সবার শেষে ডিজিটাল গোল্ডে বিনিয়োগ করতে হবে মাসে ৩ হাজার টাকা।

এবার যদি পরবর্তী ১০ বছরের হিসেব দেখেন তাহলে সেখান থেকে আপনার ডেবিট ফান্ড হবে প্রায় ২৭ লাখ টাকা। হাইব্রিড ফান্ড হবে প্রায় ৩৩ লাখ টাকা। এসআইপি হবে প্রায় ৫৮ লাখ টাকা। সোনা থেকে আপনি পাবেন প্রায় ৬ লাখ টাকা। মোট আপনার হাতে ১০ বছর পর থাকবে প্রায় ১ কোটি ২৪ লাখ টাকা।
মিউচুয়াল ফান্ড হল এক ধরনের বিনিয়োগের মাধ্যম যেখানে অনেক বিনিয়োগকারীর কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করে একটি পুল তৈরি করা হয় এবং সেই অর্থ বিভিন্ন সিকিউরিটিজ, যেমন - স্টক, বন্ড, ইত্যাদি ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করা হয়। এই পদ্ধতিতে, বিনিয়োগকারীরা তাদের পুঁজি একটি পেশাদার ফান্ড ম্যানেজার দ্বারা পরিচালিত একটি বৈচিত্রপূর্ণ পোর্টফোলিওতে বিনিয়োগ করে।
মিউচুয়াল ফান্ড বিভিন্ন বিনিয়োগকারীর কাছ থেকে অল্প অল্প করে অর্থ সংগ্রহ করে। সংগৃহীত অর্থ একটি পেশাদার ফান্ড ম্যানেজার দ্বারা বিভিন্ন সিকিউরিটিজে (যেমন - স্টক, বন্ড, ইত্যাদি) বিনিয়োগ করা হয়। এই পদ্ধতিতে, বিনিয়োগকারীরা অল্প পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করেও বিভিন্ন ধরনের সিকিউরিটিজে বিনিয়োগ করার সুযোগ পায়, যা তাদের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
মিউচুয়াল ফান্ডগুলি অভিজ্ঞ ফান্ড ম্যানেজার দ্বারা পরিচালিত হয়, যারা বাজারের ওঠানামাকে ভালোভাবে বুঝতে পারেন এবং সেই অনুযায়ী বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত নেন। মিউচুয়াল ফান্ডগুলি সাধারণত সহজে কেনা-বেচা করা যায়, যা বিনিয়োগকারীদের জন্য সুবিধাজনক।

