আজকাল ওয়েবডেস্ক: স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া (SBI)-র জুনিয়র অ্যাসোসিয়েটস – কাস্টমার সাপোর্ট অ্যান্ড সেলস পদে নিয়োগের অনলাইন আবেদন প্রক্রিয়া ২৬ আগস্ট, শেষ হবে। যারা এখনও আবেদন করেননি, তারা অফিসিয়াল ওয়েবসাইট sbi.co.in-এ গিয়ে আবেদনপত্র জমা দিতে পারবেন।


এই নিয়োগ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ৬,৫৮৯টি শূন্যপদ পূরণ করা হবে, যার মধ্যে নিয়মিত ও ব্যাকলগ উভয় ধরনের পদ অন্তর্ভুক্ত।


SBI ক্লার্কের বেতন কাঠামো
জেনে রাখা দরকার যে, SBI Clerk-এর বেতন দ্বিপাক্ষিক চুক্তি অনুযায়ী নির্ধারিত হয়, ৮ম বেতন কমিশন অনুযায়ী নয়।
প্রারম্ভিক বেতন (Basic Pay): ২৬,৭৩০
ডিয়ারনেস অ্যালাউন্স (DA 17.20%): ৭,১৬১.৯৩
হাউস রেন্ট অ্যালাউন্স (HRA): ২,৮৬২.৮৩
ট্রান্সপোর্ট অ্যালাউন্স: ৮৫০
স্পেশাল অ্যালাউন্স: ৭,০৮৩
স্পেশাল পে: ১,২০০
মোট স্থূল বেতন দাঁড়ায়: ৪৫,৮৮৮


কর্তন ও নেট বেতন
স্ট্যান্ডার্ড কর্তন (Standard Deductions): প্রায় ৬,৩৫৯
সুতরাং, SBI Clerk-এর নেট বেতন প্রায় ৩৯,৫২৯ প্রতি মাসে। উল্লেখযোগ্য যে, পোস্টিং কোথায় হচ্ছে তার উপরও মোট বেতনের পরিমাণ কিছুটা নির্ভর করে।

আরও পড়ুন: হাড়ের ক্ষয় আর নয়, বিজ্ঞানীদের হাতে এল অবাক করা যন্ত্র


প্রসঙ্গত, রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার পূর্বাভাস ছিল, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষ শেষে দেশের জিডিপি বৃদ্ধির হার ৬.৫ শতাংশে পৌঁছতে পারে। বর্তমান পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া পূর্বাভাস দিল, তা কমে ৬.৩ শতাংশ হতে পারে। তাদের দাবি, দেশের বেসরকারি ক্ষেত্রে নতুন কারখানা চালু বা ব্যবসা সম্প্রসারণের মতো মূলধনী বিনিয়োগ অনেকটাই কমবে। ভারতের আর্থিক শ্রীবৃদ্ধির পথে তা বাধা হয়ে দাঁড়াবে বলে মনে করা হচ্ছে। 


চলতি মরশুমে এখনও পর্যন্ত যা বর্ষা হয়েছে, তা আশাব্যঞ্জক। কারণ, গোটা দেশে স্বাভাবিকের তুলনায় গড়ে ২ শতাংশ বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে। যেহেতু এবার বর্ষা নির্দিষ্ট সময়ের একটু আগে এসেছে, তার জেরে খারিফ শস্য উৎপাদন ভালো হয়েছে। মোট ১০ কোটি ৪০ লক্ষ হেক্টর জমিতে এবার আবাদ ভালো হয়েছে, জানিয়েছে এসবিআই রিপোর্ট। কিন্তু দেশের আর্থিক বৃদ্ধিতে এই সুখবর যথেষ্ট নয় বলেই মনে করা হচ্ছে। কারণ, শিল্পের অবস্থা যে আশানুরূপ নয়, তা জানিয়েছে এই ব্যাংক। তাদের হিসেব, চলতি অর্থবর্ষের প্রথম তিনমাস, অর্থাৎ এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত সময়ে ভারতীয় শিল্প সংস্থাগুলির কর ও সুদ পূর্ববর্তী মুনাফা বৃদ্ধির হার ছিল গড়ে ৬.৭ শতাংশ। অথচ ঠিক তার আরে তিনমাসে সেই বৃদ্ধির হার ছিল ১১ শতাংশ।

২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে সেই হার ছিল ১২ শতাংশ। অর্থাৎ লাভের বৃদ্ধির হার কমেছে। আমেরিকার শুল্ক-প্রভাব পরবর্তী ত্রৈমাসিকগুলিতে মুনাফার উপর আরও খারাপ প্রভাব ফেলবে বলে আশঙ্কা করছে এসবিআই। তবে কেন্দ্রীয় সরকার জিএসটির হারে যে কাঠামোগত পরিবর্তন আনতে চাইছে, তা শিল্পমহলকে কিছুটা অক্সিজেন দিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এদিকে দেশের ঋণ ও আমানত বৃদ্ধির হারও আশানুরূপ নয় বলে জানানো হয়েছে। 
এসবিআইয়ের রিপোর্ট জানাচ্ছে, ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে করোনাকালের শেষলগ্নে দেশের বেসরকারি ক্ষেত্রের মূলধনী বিনিয়োগ ছিল ৫.৭ লক্ষ কোটি টাকা। গত অর্থবর্ষেও তা বেড়ে ৬.৬ লক্ষ কোটি টাকায় পৌঁছায়। চলতি অর্থবর্ষে তা ৪.৯ লক্ষ কোটি টাকায় নামতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে স্টেট ব্যাংক। সব মিলিয়ে বেসরকারি ক্ষেত্রে পরিস্থিতি খুব একটা ভালো নয় বলেই মনে করছে তারা। 


রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকটির রিপোর্টে বলা হয়েছে, জিডিপি বৃদ্ধির হার চলতি আর্থিক বছরের প্রথম তিনমাসে যেটুকু বাড়বে বলে হিসেব কষা হয়েছে, পরবর্তী ত্রৈমাসিকগুলিতে তা ধাপে ধাপে নামবে। এপ্রিল-জুনে জিডিপি বৃদ্ধির হার ৭ শতাংশ হতে পারে। দ্বিতীয়, অর্থাৎ চলতি ত্রৈমাসিকে তা নামতে পারে  ৬.৫ শতাংশে। পরবর্তী দুটি ত্রৈমাসিকে সেই হার যথাক্রমে ৬.৩ এবং ৬.১ শতাংশ হতে পারে।