আজকাল ওয়েবডেস্ক: প্রতি মাসে বাড়ছে গোল্ড লোন নেওয়ার প্রবণতা। ব্যাঙ্কগুলির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে বিগত ১ বছরের মধ্যে সোনা দিয়ে টাকা নেওয়ার পরিমান ৫০ শতাংশের বেশি হয়েছে। তবে বিষয়টি ভাল নজরে দেখছে না আরবিআই। সোনা একটি অমূল্য ধাতু। সেখান থেকে যদি সোনার ব্যবহার কমে যায় তার মানে হল দেশের মানুষের কাছে টাকার ঘাটতি রয়েছে।

 


সমীক্ষা থেকে দেখা গিয়েছে গত বছরে এই গোল্ড লোনের পরিমান ছিল ১,৫৪,২৮২ কোটি টাকা। এটি তার ৬ মাস আগে আরও কম ছিল। তবে সেখান থেকে এই পরিমান বেড়েছে প্রায় দ্বিগুন। বিভিন্ন ব্যাঙ্ক থেকে পাওয়া খতিয়ান অনুসারে গোল্ড লোন যেভাবে বাড়ছে সেখান থেকে মনে করা হচ্ছে সাধারণ মানুষের হাতে টাকা কমছে।

 


এর আরও একটি প্রধান কারণ হল প্রতিদিন সোনার দামবৃদ্ধি। ফলে যদি কারও দরকার হয়ে যায় তাহলে তিনি অতি সহজেই সোনাকে কাজে লাগাতে চাইছেন। পাশাপাশি সোনাকে বিক্রি না করে তাকে বন্ধক রেখে সেখান থেকে টাকা তুলে নিচ্ছেন। পরে সেই টাকা ফিরিয়ে দিয়ে ফের ঘরের সোনা ঘরে নিয়ে যাচ্ছেন। ফলে সোনা দিয়ে লোন নেওয়ার বিষয়টি দ্রুত বাড়ছে।


তবে বিষয়টি নিয়ে সকলকে সতর্ক থাকতে বলেছে আরবিআই। তারা মনে করছে এই সুযোগে একদল মানুষ নকল সোনাকে ব্যবহার করে ব্যাঙ্কগুলিকে ঠকাতে চাইবে। ফলে যদি ব্যাঙ্ক সতর্ক না থাকে তাহলে সেখানে প্রচুর নকল সোনার রমরমা হয়ে যাবে। তখন পরিস্থিতি সামাল দেওয়া একপ্রকার অসম্ভব হয়ে যাবে।


বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতের মতো জনবহুল দেশে যেভাবে সোনা দিয়ে লোন নেওয়ার প্রবণতা বাড়ছে তাতে এটি সোনার দামকে আরও প্রভাবিত করবে। ফলে যদি আগামীদিনে সোনা ১ লক্ষ টাকাতে গিয়ে পৌঁছয় তাহলে মানুষ অনেক বেশি করে সোনা বন্ধক রেখে বা বিক্রি করে নিজের দরকারি কাজ সারতে চাইবে। তখন বাজারে অনেক অস্থিরতা তৈরি হয়ে যাবে। এত টাকা লোন দেওয়ার মতো পরিস্থিতি থাকবে না। সেইসময় কোথায় থেকে টাকা আসবে সেটাও লাখ টাকার প্রশ্ন।