সংবাদ সংস্থা মুম্বই: এঁদের হাবভাবও নায়ক-নায়িকাদের থেকে কোনও অংশে কম নয়। কথা হচ্ছে তারকাদের দেহরক্ষীদের নিয়ে। তারকাদের নিয়ে অনুরাগীদের উন্মাদনা থাকেই। অনেকেই তাঁদের পছন্দের তারকাদের কাছে যেতে চান ছবি তোলার জন্য বা সই নেওয়ার জন্য। কেউ কেউ চান এক বার শুধু ছুঁয়ে দেখতে। সমর্থকদের ভালবাসার অত্যাচার থেকে একপ্রকার বাঁচতেই দেহরক্ষী নিয়োগ করেন তারকারা। তবে প্রায় সময়েই সাধারণ মানুষের প্রতি সেই তারকাদের সামনেই তাঁদের দেহরক্ষীদের রূঢ় ও দুর্ব্যবহার জায়গা করে নেয় খবরে। তুমুল নিন্দিত হয় নেটপাড়াতেও। এবার এসব নিয়েই এবার মুখ খুললেন জনপ্রিয় বলি-অভিনেতা সোনু সুদ। 

 

এবং মুখ খুলেই বিস্ফোরণ ঘটালেন সোনু। অভিনেতার চাঞ্চল্যকর দাবি শুনে ইতিমধ্যেই হইচই পড়ে গিয়েছে নেটদুনিয়ায়। সোনু বললেন, “এইসব তারকাদের দেহরক্ষীদের প্রশিক্ষণ দেওয়াই হয় এমন করে যাতে তাঁরা জনগণকে তাঁর মক্কেল-তারকার দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারে! বিশেষত, বিমানবন্দরের মতো জায়গায়। তাঁরা এমন সব আওয়াজ করেন যা শুনে আশেপাশে থাকা মানুষদের আগ্রহ এমনিই বেড়ে যায় নিমেষে। যেমন হয়ত গাড়ি থেকে তারকা নামছেন পথচ তাঁকে ঘিরে কোনও আগ্রহ নেই কারো। সেই সময় তাঁর নিরাপত্তারক্ষীরা ইচ্ছাকৃত এমন সব আওয়াজ করতে থাকেন যাতে মনে হয় সবাই সেই তারকার উপর হামলে পড়ছে। যেমন ফাঁকা মাঠে চিৎকার করতে থাকে 'দূর হঠ, সবাই সরে যায় সামনে থেকে' এরকম আর কি।  সেইসব বিকট আওয়াজ শুনে সবাই এমনই এগিয়ে আসেন। এই তো ব্যাপার!”

 

সোনু আরও বলে চলেন, “আমার নিজেরও একাধিক দেহরক্ষী রয়েছে। কিন্তু তাঁদের কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে অনুরাগীদের যেন কেউ ধাক্কা না মেরে দূরে সরিয়ে দেয়। সাধারণত, অনুরাগীরা যথেষ্ট ভদ্র হয়। অসভ্যতামি করেন না। আর বেশিরভাগ তারকাদের-ই আপত্তি এখানেই যে কেন কোনও অনুরাগী কিছু করেন না। তাই অনুরাগীদের উত্তেজিত করার জন্য এসব খোঁচা দেওয়ার কাজ করেন দেহরক্ষীরা।”

 

প্রসঙ্গত, গত ডিসেম্বরে তিলোত্তমার বুকে তাঁর এই আসন্ন ফিল্ম ‘ফতেহ’-এর প্রচার সারতে এসেছিলেন তিনি ৷ হাওড়া ব্রিজের নীচে ভক্তদের সঙ্গে নিজস্বী, বাসে ও হলুদ ট্যাক্সিতে চড়ে শহর ঘোরা কোনও কিছুই বাদ গেল না তাঁর ঝটিকা সফরে। এদিন কলকাতার ঐতিহ্য কফি হাউজেও যেতে দেখা যায় তাঁকে। তাঁকে দেখে ভক্তদের উপচে ভিড়ের মাঝে যেন আরও নজরকাড়া সোনু। আগামী ১০ জানুয়ারি মুক্তি পেতে চলেছে তাঁর অভিনীত ছবি ‘ফতেহ’। ছবিতে সোনু সুদ ছাড়াও অভিনয় করেছেন জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজ, বিজয় রাজ, নাসিরুদ্দিন শাহ এবং দিব্যেন্দু ভট্টাচার্য।