বলিউডে নেপোটিজম অর্থাৎ স্বজনপোষণ, ফেভারিটিজম আর লবির রাজনীতি নিয়ে ফের একবার সরব হলেন অভিনেতা আদিত্য পাঞ্চোলি। নাম না করে ইঙ্গিত দিলেন, তাঁর কেরিয়ারের বড় সুযোগ এসেছিল যখন তিনি ‘তেজাব’ ছবির নায়ক হওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন। কিন্তু একজন ‘ক্ষমতাবান অভিনেতার দাদা’র কারণে হাতছাড়া হয়েছিল সেই সুযোগ, তাঁর কাছ থেকে!

 

সম্প্রতি নিজের এক্স হ্যান্ডেলে আদিত্য পোস্ট করেছেন নিজের পুরনো ছবি সহ এক বিস্ফোরক দাবি। লিখেছেন - “আমি ছিলাম ‘তেজাব’ (১৯৮৮) ছবির নায়কের প্রথম পছন্দ মাধুরী দীক্ষিতের বিপরীতে। পরিচালক এন চন্দ্র আজও বেঁচে আছেন, তিনি বিষয়টি জানেন। দুর্ভাগ্যবশত, এক অভিনেতা তাঁর প্রভাবশালী দাদার মাধ্যমে পরিচালককে প্রভাবিত করে আমাকে সরিয়ে দেয়। এরপর যা ঘটেছে, তা ইতিহাস। সম্প্রতি এক অভিনেতাকে নতুন ছবির প্রচারে নেপোটিজম নিয়ে কথা বলতে দেখলাম। কিন্তু সত্যি হল, বলিউডে রাজনীতি চলে নেপোটিজমের থেকেও গভীরভাবে। ফেভারিটিজম, প্রভাব, আর ক্ষমতার খেলায়ই গড়ে ওঠে  কেরিয়ার।”

?ref_src=twsrc%5Etfw">October 27, 2025

 

 

 

নাম প্রকাশ না করলেও সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় উঠেছে। বহু নেটিজেন সরাসরি দাবি করেছেন, আদিত্য আসলে ইঙ্গিত দিচ্ছেন অনিল কাপুর এবং তাঁর দাদা বনি কাপুরের দিকেই। এক ব্যবহারকারী লিখেছেন—“নিশ্চয়ই  অনিল কাপুরের কথাই বলেছেন। ভাগ্যও পরে তার হিসেব দিয়েছে, আজ কেউ মনে রাখে না যে তাঁর ছেলেও অভিনেতা ছিল!”

 

 

আরেকজন মন্তব্য করেন, “ওই অভিনেতা সবসময় ছবিতে সুযোগ পাওয়ার জন্য লবি করেছে, অন্যের দৃশ্যকাটিয়েছে। ‘পরিন্দা’-তেও নাসিরুদ্দিন শাহকে চাননি। সারাজীবন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগেছে!”

 

 

উল্লেখ্য, শেষমেশ ‘তেজাব’ ছবিতে মুখ্য ভূমিকায় ছিলেন অনিল কাপুর, আর তাঁর বিপরীতে মাধুরী দীক্ষিত। ছবিতে অভিনয় করেছিলেন অনুপম খের, চাঙ্কি পাণ্ডে, কিরণ কুমার, সুরেশ ওবেরয়, মন্দাকিনী প্রমুখ। আদিত্য পাঞ্চোলির শেষ বড় ছবি ছিল সঞ্জয় লীলা বনশালির ‘বাজিরাও মস্তানি’ (২০১৫)। সেই ছবিতে ছিলেন রণবীর সিং, দীপিকা পাড়ুকোন ও প্রিয়াঙ্কা চোপড়া।

 

বর্তমানে তাঁর ছেলে সুরজ পাঞ্চোলি সম্প্রতি দেখা গিয়েছেন ‘কেশরী বীর’ (২০২৫) নামের পিরিয়ড ড্রামায়। তবে বাবার বিস্ফোরক এই মন্তব্যে ফের আলোচনায় এসেছে বলিউডের সেই পুরনো প্রশ্ন, “নেপোটিজম নয়, আসল খেলা কি তবে প্রভাব আর ক্ষমতার?”