সমাজমাধ্যমে আজ ছড়িয়ে পড়েছে এমন এক মুহূর্ত, যা দেখে গলল বলিপাড়ার মন। অভিনেতা ও নির্মাতা আরবাজ খানকে দেখা গেল হাসপাতাল থেকে বেরোতে, তাঁর নবজাতক কন্যাকে কোলে নিয়ে। পাশে তখন স্ত্রী শুরা খান। আরবাজের মুখে তখন শান্ত, গর্বভরা হাসি— যেন পৃথিবীর সবচেয়ে প্রশান্ত মানুষ তিনি।
ভিডিওটি শুরু হয় হাসপাতালের কাচের দরজা দিয়ে আরবাজের বেরিয়ে আসার দৃশ্য দিয়ে। দুপুরের আলো তাঁর মুখে পড়েছে, কোলে নরম কম্বলে মোড়া 'ছোট্ট রাজকন্যা'। চারপাশে ক্যামেরার ঝলকানি, কিন্তু আরবাজের মুখে তখন এতকটুও অস্থিরতা নেই। বরং এক মিষ্টি হাসিতে তিনি শুভেচ্ছা জানান পাপারাজ্জিদের— গর্বিত, সন্তুষ্ট এক বাবার হাসি।
এটাই আরবাজের কন্যাসহ প্রথম প্রকাশ্যে আসা। তাঁর জীবনে এটি এক নতুন অধ্যায়। অবশ্য এই ‘দবং’ অভিনেতা আগেই ছিলেন এক পুত্রসন্তানের বাবা - আরহান খান।
ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, নতুন মা শুরা খান কালো পোশাকে, টুপিতে মুখ ঢেকে দ্রুত গাড়ির দিকে হাঁটছেন। ভিডিওর বার্তা বাক্সে ভালবাসায় ভেসে গিয়েছে। কেউ লিখেছেন — “আরবাকে কী ভীষণ উজ্জ্বল দেখতে লাগছে।” কেউ বলেছেন, “ওর চোখেমুখ থেকে যেন খুশির আলো ঝরে পড়ছে।” এক অনুরাগীর উচ্ছ্বাস, “ কন্যা সন্তান পাওয়া খুব জরুরি ও দারুণ ব্যাপার... ভাল লাগছে দেখে। মেয়ের বাবা হওয়া বড় ব্যাপার!”— আবার কেউ লিখেছেন, “ বাবা তাঁর মেয়েকে নিয়ে ঘরে ফিরছেন।”
ইতিমধ্যেই শুরা ইনস্টাগ্রামে জানিয়েছেন তাঁদের কন্যার নাম— সিপারা খান। আরবি ভাষায় এই নামের অর্থ ' সুন্দরী নারী', ফার্সি ভাষায় এর অর্থ 'ফুল' এবং হিন্দিতে 'সিপারা' ধর্মগ্রন্থ কোরানের ৩০টি অংশের একটি অংশের নাম।

প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালে প্রথম স্ত্রী মালাইকা অরোরার সঙ্গে বিচ্ছেদের সাত বছর পর, আবার ভালবাসায় বাঁধা পড়েন আরবাজ ও রূপটানশিল্পী শুরা। ২০২৩ সালের ২৪ ডিসেম্বর ঘনিষ্ঠজনদের উপস্থিতিতে ছোট্ট পরিসরে তাঁদের বিয়ে হয়। আর ঠিক দ্বিতীয় বিবাহবার্ষিকীর আগেই, ৫ অক্টোবর ২০২৫-এ আসে তাঁদের জীবনের সবচেয়ে বড় উপহার— এক কন্যাসন্তান।
আর জন্মের পর নবজাতককে দেখতে প্রথম দর্শক হিসেবে যিনি হাসপাতালে পৌঁছে গিয়েছিলেন— তিনি আর কেউ নন, তারকা জেঠু সলমন খান!
