নাম কিরণ দত্ত। তবে ইউটিউবার ‘দ্য বং গাই’ হিসাবেই তিনি খ্যাতি পেয়েছেন। ইউটিউবে ভিডিয়ো বানিয়ে গত বছরেই সিলভার ও গোল্ডন বটন-এর মাইলফলক ছুঁয়ে ফেলেছিলেন কিরণ। সেই সুখবর ফেসবুকের পাতায় নিজেই জানিয়েছিলেন ইউটিউবার। মজাদার কন্টেন্ট বানানোর পাশাপাশি বিভিন্ন সময়ে সমাজের নানান গুরুতর বিষয় নিয়েও নিজের সোজাসাপটা মন্তব্য পেশ করেন এই ইউটিউবার, যা প্রশংসার পাশাপাশি নিয়ে আসে বিতর্ককেও। একবার তো তিনি সমাজমাধ্যমে সাফ লিখে দিয়েছিলেন, নম্বরের পিছনে তিনি ছোটেন না, তাই প্রচুর সাবস্ক্রাইবার তাঁর চাই না! তাঁর কথায়, “তোমরা যে ভালবাসা দাও, নম্বরের ঊর্ধ্বে সেই ভালবাসা আমার চাই। তাই গুণগত মান ঠিক রেখে যেভাবে এগনো যায় সেভাবে এগোব।” এবার ফের আলোচনায় ‘দ্য বং গাই’।
আরও পড়ুন: গর্ভপাত করিয়েছেন নওয়াজউদ্দিনের ‘সেক্রেড গেম্স’-এর সহ-অভিনেত্রী! কার দিকে আঙ্গুল তুললেন কুবরা সেইট?

এক জনপ্রিয় প্রকাশনার উচ্চ মাধ্যমিক সহায়িকায় একটি অধ্যায় আলোচনা করা হয়েছে ইউটিউবের এবং নেটমাধ্যমের ইনফ্লুয়েন্সারদের নিয়ে। তাঁদের জনপ্রিয়তা যেমন অসিলোচনা করা হয়েছে তেমনই বলা হয়েছে এই পেশার ইতিবাচক ও নেতিবাচক দিকগুলোও। সেখানেই উল্লেখ করা হয়েছে কিরণের নাম বাংলার প্রথম ইউটিউবের হিসেবে! বইয়ের পাতার সেই অংশটি লাল কালি দিয়ে দাগিয়ে ফেসবুকে পোস্ট করেছেন ‘বং গাই’। এবং সঙ্গে লিখেছেন,
“মাঝে মাঝে ভাবি এগুলো কি সত্যি না কল্পনা?
উচ্চমাধ্যমিকের রায় আর মার্টিনের সহায়িকা ঘাটতে ঘাটতে হঠাৎই দেখলাম। আমার সাথে এবার থেকে সবাই সম্মানের সাথে কথা বলবে!”

এরপরেই এই পোস্টের বার্তা বাক্সে নিজস্ব ছন্দে তিনি ফের মজাদার মন্তব্য করেন, “ইতিহাসে যেরকম আমরা পড়ি বাংলার প্রথম রাজা, প্রথম ডাক্তার, প্রথম ফিলমমেকার সেরকম কি ২০ বছর পর বাংলার প্রথম ইউটিউবার এরকমও থাকবে?”
(পোস্টের বানান অপরিবর্তিত রাখা হল)
গোটা ব্যাপারটায় নেটপাড়া দু’ভাগে বিভক্ত। কিরণ-ভক্তরা যেমন উচ্ছ্বসিত তেমন নেটিজেনদের এক অংশ বিরোধিতা করেছেন। শানিয়েছেন কটাক্ষও।

কেউ লিখেছেন, “যাদের ভিডিও বাচ্চাদের একদমই দেখা উচিত নয়, তাদের নামই বইয়ের পাতায়।” আবার আরেকজন লিখেছেন, “লেখাপড়ার মান অতীব খারাপ হচ্ছে দিন দিন...।”, “ গালাগালি দেওয়া মানুষদের নাম বইয়ের পাতায়। সমাজ শেষ।”

প্রসঙ্গত ছাত্র হিসাবে বেশ মেধাবী ছিলেন কিরণ দত্ত। মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিকে ভাল ফল করে ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করেন, তারপর চাকরির হাতছানি ছেড়ে চলে এসেছিলেন ইউটিউবের দুনিয়ায়। তিনি যখন বং গাই হয়ে কাজ শুরু করেছিলেন। তখন বাংলায় ইউটিউবারদের এত জনপ্রিয়তা তৈরি হয়নি। তবে ধীরে ধীরে ভাল কাজই কিরণকে সাফল্য এনে দেয়। বর্তমানে অভিনয় দুনিয়ার তারকাদের থেকে কিছু কম জনপ্রিয় নন ' দ্য বং গাই' কিরণ। বহু টলি তারকা ছবির প্রচারের জন্য তাঁর চ্যানেলকে ব্যবহারও করেন। এমনকি ইউটিউব থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা রোজগারও করেন তিনি।
