আজকাল ওয়েবডেস্ক: বলিউড অভিনেতা সইফ আলি খানের উপর হামলার প্রায় ৭০ ঘণ্টার মাথায় মূল অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে মুম্বই পুলিশ। পশ্চিম থানে থেকে ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ১৬ জানুয়ারি রাতে কীভাবে বিনা বাধায় সইফের বহুতল বাড়িটির ১২ তলায় উঠতে সক্ষম হয়েছিলে? রবিবার তার খোলসা করল পুলিশ।
মুম্বই পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ঘটনার দিন সকাল ৭টা পর্যন্ত বান্দ্রা পশ্চিমের একটি বাসস্ট্যান্ডে ঘুমিয়েছিলেন শরিফুল। এর পর একটি ট্রেন ধরে ওরলি পৌঁছন। সেখান থেকে আবার বান্দ্রায় আসে। ১৬ জানুয়ারিতে বান্দ্রার সতগুরু শরণ বিল্ডিংয়ে প্রবেশ করেন। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত প্রথমে সিঁড়ি দিয়ে সাত বা আট তলা পর্যন্ত পৌঁছন। সেখান থেকে পাইপ বেয়ে ১২ তলায় পৌঁছয়। এরপর সইফের বাড়ির বাথরুমের জানালা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করেন। সেই সময় তাঁকে অভিনেতার পরিচারিকা দেখে ফেলেন তার পরেই আচমকা সইফের উপর হামলা করেন শরিফুল।
মুম্বই পুলিশের দাবি, ধৃত শরিফুল বাংলাদেশী। পুলিশ আরও জানিয়েছে, অভিযুক্তকে কোর্টে পেশ করা হবে যত দ্রুত সম্ভব। যদিও শরিফুলের আইনজীবী দাবি করেছেন, তাঁর মক্কেল বাংলাদেশের নাগরিক নন। তিনি দাবি করেন, পুলিশের কাছে কোনও প্রমাণ নেই। তাঁর মক্কেল ওই এলাকায় গত সাত বছর ধরে রয়েছেন বলেও দাবি করেন।
গত বুধবার গভীর রাতে নিজের বাড়িতেই হামলা হয় নবাব পুত্র সইফ আলি খানের উপর। শরীরে ছ'টি ক্ষত, তারমধ্যে দু'টি বেশ গভীর। চিকিৎসকরা প্রথম দিনেই জানিয়েছিলেন, অল্পের জন্য বড় বিপদ থেকে বেঁচে গিয়েছেন, না হলে ঘটতে পারত আরও বড় কিছু। লীলাবতী হাসপাতালে ওই রাত থেকেই চিকিৎসারত সইফ। তাঁকে ইতিমধ্যেই আইসিইউ থেকে জেনারেল ওয়ার্ডে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তিনি ধীরে ধীরে সুস্থ হচ্ছেন এবং স্বাভাবিক ভাবে খাওয়াদাওয়া শুরু করেছেন। আশা করা যাচ্ছে, আগামী দু’এক দিনের মধ্যেই তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছাড়া হবে।
