বলিউডের বাদশা শাহরুখ খান নিজের ৬০তম জন্মদিনে ফ্যান মিটে খুলে বললেন তাঁর ২০১১ সালের সুপারহিরো ফিল্ম ‘রা.ওয়ান’–এর কথা। জানালেন, ছবিটা তাঁর হৃদয়ের খুব কাছের, আর পরিচালক অনুভব সিনহা ছবিটার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করেছিলেন। শাহরুখের আশা ছিল, ‘রা.ওয়ান’ ভারতের সিনেমায় এক নতুন ধারার সূচনা করবে- দেশি সুপারহিরো ফিল্ম তৈরির এক যুগ শুরু হবে। তিনি চেয়েছিলেন, এই ছবির মাধ্যমে আরও প্রযুক্তিগত ও উচ্চমানের ভিজ্যুয়ালি প্রজেক্ট করতে উৎসাহ পাবেন অন্য পরিচালকরা।

 

 

তবে বাস্তবে তা হয়নি। অনেকেই ছবিটিকে ভালবেসে ফেললেও শাহরুখের আশা অনুযায়ী ভারতীয় সিনেমায় কোনও নতুন ট্রেন্ড শুরু হয়নি। তবু কিং খান মনে করেন, ‘রা.ওয়ান’ আজকের সময়ের দর্শকের সঙ্গে আরও বেশি সংযোগ স্থাপন করতে পারবে। তাঁর কথায়, “তখন মানুষ ভিডিও গেম, প্লে-স্টেশন বা আইপ্যাডের সঙ্গে এতটা পরিচিত ছিল না। এখন তো সবাই স্মার্টফোনে থাকে। তাই আজ যদি ছবিটা মুক্তি পেতো, মানুষ অনেক বেশি গ্রহণ করত।”

 

জন্মদিনের ফ্যান মিটে শাহরুখ বলেন, “ছবিটা একেবারে অন্যরকম ছিল। আমার কাছে খুব প্রিয়ও। অনুভব খুব কষ্ট করেছিল ছবিটার জন্য। তাই আশা করেছিলাম এটা একটা নতুন ট্রেন্ড শুরু করবে। আমি সবসময় ভাবি, ঈশ্বর আমাকে যে জায়গায় পৌঁছে দিয়েছেন, সেখান থেকে এমন কিছু করা উচিত যা অন্যদেরও অনুপ্রেরণা দেয়। আমাদের দেশের জন্য এটাই দরকার।”

 

তিনি আরও বলেন, “তখন ভাবছিলাম, আমি যখন ‘রা.ওয়ান’ করব, সবাই বলবে, এটা একদম অন্যরকম সুপারহিরো সিনেমা। শুধু সুপারহিরো না, এর মধ্যে ভিজুয়াল এফেক্টসের দিক থেকেও অনেক নতুনত্ব ছিল। আশা করেছিলাম, স্টুডিওগুলো ভারতেও আসবে, সিনেমার প্রযুক্তিতে অনেক পরিবর্তন আসবে। কিন্তু প্রত্যাশা অনুযায়ী হয়নি, যদিও ছবিটা খারাপ করেনি, মানুষ ভালবেসেছিল।”

 

এবার এই ছবির সিক্যুয়েল প্রসঙ্গে কিং খান-এর স্পষ্ট মন্তব্য— “যদি অনভব আবার বানাতে চায়, আমি রাজি। কারণ যিনি এই ছবি বানিয়েছিলেন, ওর হাতেই সেই ভবিষ্যৎ থাকা উচিত। আমরা খুব পরিশ্রম করেছিলাম। ঈশ্বরের ইচ্ছা থাকলে হয়তো আবার সেই সময় আসবে। আর এখন তো এই ছবি বানানো আরও সহজ।”

 

উল্লেখ্য, গত মাসেই অনভব সিনহা এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, “এখন অনেকেই বলে যে তারা ‘রা.ওয়ান’ পছন্দ করে, কিন্তু তখন ছবিটা ফ্লপ বলেই ধরা হয়েছিল। শাহরুখ খানের সঙ্গে একটাই ছবি বানিয়েছিলাম, আর সেটাই ব্যর্থ হল...এই ব্যাপারটা আমাকে ভীষণ কষ্ট দিয়েছিল। আমি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলাম, সেই ধাক্কা কাটাতে সময় লেগেছিল।”