প্রতি সপ্তাহে জি বাংলার ধারাবাহিক 'তুই আমার হিরো' নম্বরের নিরিখে খারাপ ফল করে না টিআরপিতে। সুপারস্টার শাক্যজিৎ ও আরশির গল্প বেশ মনে ধরে দর্শকের। শুরুর দিকে দু'জনের তেমন বনিবনা না থাকলেও এখন একে অপরের প্রেমে হাবুডুবু খায়। ঘটনাচক্রে আরশির সঙ্গে বিয়ে হয়ে যায় শাক্যর। এই বিয়ে প্রথমে মন থেকে মানতে পারেনি দু'জনের কেউই। তবে ধীরে ধীরে একে অপরের পাশে থাকতে থাকতে কখন যে ভালবেসে ফেলেছে তারা, তা বোঝেনি।
একসঙ্গে সমস্ত বিপদ মোকাবিলা করে দু'জন। এবারও তার অন্যথা হল না। পুজোর আবহে ফের বিপদের ছায়া শাক্য-আরশির জীবনে। কিছুদিন আগেই শাক্যর জীবনে ফিরে এসেছে তার প্রাক্তন প্রেমিকা। প্রথমে সে নিজেকে অসহায় প্রমাণ করলে শাক্য ও আরশি দু'জনেই তার পাশে দাঁড়ায়। এমনকী ঠাম্মিকে রাজি করিয়ে আরশি তাকে তাদের পরিবারে থাকার ব্যবস্থা পর্যন্ত করে দেয়।

কিন্তু যে কারণে শাক্যর প্রাক্তন ফিরে এসেছে তা এতদিনে সামনে এসে গিয়েছে। আসলে সে চায় এই বাড়িতে থেকে শাক্যর কাছাকাছি আসতে। কারণ, শাক্যর পাশে সে আরশিকে কিছুতেই সহ্য করতে পারছে না। তাই নানাভাবে আরশিকে অপদস্থ করার চেষ্টা করে সে।

তার হাত থেকে মুক্তি পেতে না পেতেই শাক্য-আরশির জীবনে এল এক নতুন ঝড়। তাদের পরিবারের সময়টা এখন তেমন ভাল যাচ্ছে না। তাই বেশিরভাগ সময় চিন্তায় দিন কাটছে তাদের। এর মধ্যে দীপাবলিতে বাড়িতে প্রদীপ জ্বালাতে যায় শাক্য। প্রদীপ হাতে নিয়ে সে আরশির খোঁজ করে। দেখে, বাড়ির সবার মুখ থমথমে! কোথায় আরশি?
শাক্যর মা বলে, সে বাড়িতে খুশির আলো জ্বালাতে চাইছে অন্যদিকে আরশি পরিবারের মুখে চুনকালি মাখানোর জন্য উঠেপড়ে লেগেছে। মায়ের মুখে এই কথা শুনে রীতিমতো অবাক হয়ে যায় শাক্য। ছোটভাইয়ের সঙ্গে একটি পানশালায় যায় সে। সেখানে দেখতে পায় আরশি গান গাইছে। নিজের স্ত্রীকে এমনভাবে দেখে অবাক হয়ে যায় সে। আরশির কাছে জানতে চায় কেন সে এখানে গান গাইছে? জবাবে আরশি জানায়, সে যা করেছে সবটাই পরিবারের কথা চিন্তা করে করেছে। সবটা জানার পরেও এই ভুলের জন্য শাক্য যদি তাকে কোনও শাস্তি দিতে চায়, তাহলে সে তা মাথা পেতে নেবে।
আরশিকে কি ভুল বুঝবে শাক্য? আবারও কি শুরু হবে দু'জনের মান-অভিমানের পালা? নাকি একসঙ্গে কঠিন পরিস্থিতির মোকাবিলা করবে শাক্য-আরশি?
