মঙ্গলবার থেকেই পশ্চিমবঙ্গে শুরু হয়ে যাচ্ছে এসআইআর। এদিন নির্বাচন কমিশন জানিয়ে দিল, ৪ নভেম্বর থেকে বাড়ি বাড়ি যাওয়া শুরু করবেন বিএলও-রা। প্রথম দফার এই প্রক্রিয়া চলবে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
৪ নভেম্বর থেকে ৪ ডিসেম্বর চলবে এনুমারেশন ফর্ম প্রক্রিয়া। ৯ ডিসেম্বর খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ। ৯ ডিসেম্বর থেকে ৩১ জানুয়ারি অভিযোগের ভিত্তিতে শুনানি, ৭ ফেব্রুয়ারি চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করবে নির্বাচন কমিশন।
4
6
অনেক রাজ্যই আগের ভোটার তালিকা অনলাইনে প্রকাশ করেছে। যেমন দিল্লির প্রধান নির্বাচন দপ্তরের ওয়েবসাইটে ২০০৮ সালের ভোটার তালিকা এবং উত্তরাখণ্ডে ২০০৬ সালের তালিকা পাওয়া যায়। অধিকাংশ রাজ্যেই ২০০২ থেকে ২০০৪ সালের মধ্যে শেষবার নিবিড় ভোটার তালিকা সংশোধন করা হয়েছিল। সেই পুরনো তালিকাগুলিই এখন মূল রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে, যাতে পুরনো ভোটারদের নামের সঙ্গে বর্তমান ভোটারদের তথ্য মিলিয়ে দেখা যায়।
5
6
কিন্তু কেন ওই সময়ের তালিকাকেই প্রামাণ্য তালিকা হিসেবে বিচার করা হবে? কারণ হিসেবে নির্বাচন কমিশন জানাচ্ছে, এই ধরনের নিবিড় পর্যালোচনা শেষ ২০০২-৩ সালেই হয়েছিল। নির্বাচন কমিশনের মত, ২০০৩ সাল থেকে প্রায় ২০ বছর ধরে এই ভোটার তালিকাটি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে সংশোধন করা হয়নি। তাই ওই তালিকাকে সামনে রেখেই বিশেষ নিবিড় সংশোধন প্রক্রিয়া করা হবে ভোটার তালিকায়।
6
6
যাঁদের বাবা-মায়ের নাম, অভিভাবকের নাম থাকবে না তালিকায়, তাঁদের দেখাতে হবে নির্দিষ্ট পরিচয়পত্র। তাঁরা প্রথমে জেলাশাসককে জানাতে পারবেন, তারপর তাঁদের প্রয়োজনীয় নথি জমা দিতে হবে। তার সঙ্গে তিনটে ফর্ম রয়েছে কমিশনের। ফর্ম ৬, ফর্ম ৭ অথবা ফর্ম ৮ পূরণ করতে হবে তাদের। ফর্ম ৬ তালিকায় নতুন নাম সংযোজনের জন্য, ফর্ম ৭ নাম তালিকা থেকে সরানোর জন্য এবং ফর্ম ৮ ভোটার স্থানান্তকরণ বা কোনও সংশোধনের জন্য।