আজকাল ওয়েবডেস্ক: মন নিয়ন্ত্রণ করে হরমোন! হ্যাঁ ঠিকই পড়ছেন। ভাল লাগা, খারাপ লাগা, আলিঙ্গন-চুম্বন, রাগ-বৈরাগ্য সব কিছুর পিছনেই রয়েছে মস্তিস্ক। এ কথা যেমন সত্যি তেমনই মস্তিস্ককে প্রভাবিত করার নেপথ্যে আরও একটি উপাদান থাকে, একথাও সত্য। আর এই উপাদানই হল হরমোন। হরমোন এমন ধরনের যৌগ যার ভারসাম্য ঠিক করে দেয় আপনার মন মেজাজ কেমন থাকবে। দেখে নেওয়া যাক, মনের বিভিন্ন অবস্থার উপর কোন হরমোন কীভাবে প্রভাব ফেলে।

১. অক্সিটোসিন:
 * এই হরমোনকে "ভালবাসার হরমোন" বা "বন্ধন হরমোন" বলা হয়।
 * এটি ঘনিষ্ঠতা, বিশ্বাস এবং সামাজিক বন্ধন তৈরিতে সাহায্য করে।
 * শারীরিক ঘনিষ্ঠতার সময়, যেমন আলিঙ্গন বা চুম্বনের সময়, অক্সিটোসিনের মাত্রা বাড়ে।
 * মা ও শিশুর মধ্যে বন্ধন তৈরিতেও এই হরমোন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
২. ডোপামিন:
 * এটি "ভাল লাগার হরমোন" নামে পরিচিত।
 * যখন আমরা কোনও আনন্দদায়ক কাজ করি, তখন শরীরে ডোপামিনের মাত্রা বাড়ে।
 * সম্পর্কের শুরুতে, যখন আমরা নতুন কারও প্রেমে পড়ি, তখন ডোপামিনের মাত্রা খুব বেশি থাকে।
 * এটি আমাদের আনন্দ, উত্তেজনা এবং অনুপ্রেরণা জোগায়।
৩. সেরোটোনিন:
 * এটি আমাদের মেজাজ, আবেগ এবং সামাজিক আচরণ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
 * সেরোটোনিনের সঠিক মাত্রা আমাদের শান্ত রাখে, সুখী করে।
 * সম্পর্কের স্থিতি এবং শান্তি বজায় রাখতে সেরোটোনিন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
৪. টেস্টোস্টেরন:
 * এটি পুরুষদের মধ্যে বেশি পরিমাণে থাকে এবং যৌন ইচ্ছা ও আগ্রাসন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
 * সম্পর্কের মধ্যে উত্তেজনা এবং আবেগ বজায় রাখতে টেস্টোস্টেরন গুরুত্বপূর্ণ।
৫. ইস্ট্রোজেন:
 * এটি মহিলাদের প্রধান যৌন হরমোন, যা প্রজনন এবং যৌন ইচ্ছা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
 * ইস্ট্রোজেন বেশি থাকলে মহিলারা অনেক বেশি আবেগঘন হয়ে পড়েন।
 * সম্পর্কের মধ্যে আবেগ এবং ঘনিষ্ঠতা বজায় রাখতে ইস্ট্রোজেন গুরুত্বপূর্ণ।
৬. কর্টিসল:
 * এটি "স্ট্রেস হরমোন" নামে পরিচিত।
 * যখন আমরা চাপের মধ্যে থাকি, তখন কর্টিসলের মাত্রা বাড়ে।
 * দীর্ঘমেয়াদী চাপ সম্পর্কের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।