আজকাল ওয়েবডেস্ক: গভীর রাতে হঠাৎ বুকে ব্যথা। সঙ্গে সঙ্গে জানিয়েছিল আশ্রমের কর্মীদের। কিন্তু সকলে ভেবেছিলেন, সম্ভবত অম্বল হয়েছে তার। সেই জন্যেই বুকে ব্যথা। রাতে হাসপাতালে না নিয়ে গিয়ে, অম্বলের ওষুধ খাইয়ে তাকে ঘুমাতে বলেন। সকালে ঘটল বিপত্তি। অচৈতন্য অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলেও আর শেষরক্ষা হয়নি। চিকিৎসকরা ১৩ বছরের নাবালককে মৃত ঘোষণা করেন।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে গুজরাটের নভসারিতে। ১৩ বছরের নাবালক মেঘ শাহ আসলে মধ্যপ্রদেশের বাসিন্দা ছিল। নভসারির তপোবন আশ্রম স্কুলের ছাত্র ছিল সে। গত ২৪ মে রাত ১টা নাগাদ হঠাৎ বুকে চিনচিনে ব্যথা শুরু হয় তার। সঙ্গে সঙ্গে আশ্রমের কর্মীদের জানায় সে। কিন্তু তাঁদের ধারণা ছিল, খাবার খেয়ে সম্ভবত অম্বল হয়েছে মেঘের। তাকে অম্বলের ওষুধ খাইয়ে সকলে চলে যান। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কথা কারো মাথাতেও আসেনি।
সারারাত বুকে ব্যথা নিয়ে কাতরাতে থাকে মেঘ। ছটফট করতে করতে হঠাৎ জ্ঞান হারায়। ভোরবেলায় তাকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। হার্ট অ্যাটাকে মেঘের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
নাবালকের মৃত্যুতে আশ্রমের কর্মীদের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলেছে পরিবার। ইতিমধ্যেই আশ্রম কর্তৃপক্ষ কয়েকজন কর্মীকে সাসপেন্ড করেছেন। থানায় তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে নাবালকের পরিবার।
