আজকাল ওয়েবডেস্ক: বইয়ের পাতা উল্টেই মানুষ শেখেন কতকিছু। এমন বইয়ের কথা জানা যায়, যা পড়লেই নাকি মানুষ বুঝতে পারতেন পশু পাখির ভাষা, হয়ে যেতেন কালের ত্রাতা।
প্রায় সব মানুষই চান একটা সুযোগ, যদি অতীতে ফিরে গিয়ে নিজেদের ভুল শুধরে নিতে পারেন, তাহলে অনেককিছুই বদলে ফেলবেন। ওই বইয়ের পাতা ওল্টালে নাকি, সেসবের সুযোগও মিলত।
কিন্তু তারপরা? জানা যায়, ওই গ্রন্থের আর কোনও খোঁজ মেলেনি কোনও দিন। কিন্তু পুরাতনকালে বিবরণ পাওয়া যায় এর। শোনা যায়, এই বইয়ের খোঁজ করতে গিয়ে, জীবন গিয়েছে বহু মানুষের, তবুও খোঁজ মেলেনি। এখানে কথা হচ্ছে নীলাবন্তী গ্রন্থের। এটি এমন একটি বই যা একজন ব্যক্তি পড়তে পারে এবং সময় সম্পর্কে জ্ঞানী ব্যক্তি হতে পারে।
হিন্দি ভাষার সাহিত্যেও এই গ্রন্থের উল্লেখ পাওয়া যায় বলেই বমত ওয়াকিবহাল মহলের। মহারাষ্ট্রের প্রত্যন্ত গ্রামে গেলেও, এখনও এই বইয়ের কথা শুনতে পাওয়া যাবে। কেউই এই বই দেখেননি। কিন্তু পূর্বপুরুষের কাছে শুনেছেন, শুনে এসেছেন, এবং তা থেকেই বলে এসেছেন উত্তরসূরিকে।
লোকবিশ্বাস অনুসারে, একজন ব্যক্তি যত বেশি সময়, অতীত, ভবিষ্যত এবং বর্তমানের তিনটি সময় সম্পর্কে বোঝেন, তত বেশি তিনি ওই সময়ের সঙ্গে ঘুরে বেড়ানোর আশা করেন। জনশ্রুতি, যে ব্যক্তি এই বইটি পড়ছেন তিনি যে কোন উপায়ে সময় পরিবর্তন করার ক্ষমতা রাখেন। ক্ষমতা থাকে ইতিহাসকে বদলে দেওয়ার।
