আজকাল ওয়েবডেস্ক: বুধবার ভোররাতে জম্মু ও কাশ্মীরের পুঞ্চ জেলায় নিয়ন্ত্রণরেখা (LoC) বরাবর পাকিস্তান ব্যাপক মর্টার ও গোলাবর্ষণ চালায়। এতে অন্তত ১২ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হন, আহত হন আরও ৫৭ জন। নিহতদের মধ্যে চার শিশু ও শিখ সম্প্রদায়ের তিনজন রয়েছেন। একটি স্থানীয় গুরুদ্বারায়ও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

এই হামলা ঘটে ভারতের ‘অপারেশন সিন্ধুর’-এর পরপরই, যা ছিল ২২ এপ্রিল পাহেলগাঁও হামলায় ২৬ জন নিহতের প্রতিশোধে চালানো একটি সন্ত্রাসবাদ-বিরোধী অভিযান।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এই গোলাবর্ষণের তীব্রতা ১৯৯৯ সালের কারগিল যুদ্ধকেও ছাড়িয়ে গেছে। নিহতদের মধ্যে ছিলেন স্থানীয় দোকানি অমরিক সিং, যিনি দোকান খোলার সময় গোলার আঘাতে প্রাণ হারান। গুরুদ্বারা শ্রী গুরু সিং সভা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

শ্রী অকাল তখতের ভারপ্রাপ্ত জাঠেদার গিয়ানি কুলদীপ সিং গারগাজ এবং শিরোমণি অকালি দলের প্রধান সুখবীর সিং বাদল উভয়েই এই হামলার নিন্দা করেন এবং শান্তির আহ্বান জানান। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবনীত সিং বিট্টু এই হত্যাকাণ্ডকে “বর্বরতা” বলে উল্লেখ করেন।

পুঞ্চ জেলার বালাকোট, মেন্ধার, মানকোট, কৃষ্ণাঘাটি, গুলপুর, কেরনি সহ অনেক এলাকায় গোলাবর্ষণের খবর পাওয়া গেছে। অসংখ্য বাড়িঘর ও যানবাহন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সীমান্তবর্তী এলাকার মানুষজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

সরকার ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তার জন্য কাজ করছে এবং নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দৃঢ় অবস্থানে রয়েছে বলে জানানো হয়েছে।