আজকাল ওয়েবডেস্ক: চারদিকে সাইবার স্ক্যাম হচ্ছে। এর ফাঁদে পড়ে নাগরিকেরা খোয়াচ্ছেন লাখ লাখ টাকা। কখনও সেই টাকার অঙ্ক পৌঁছচ্ছে কোটিতেও। এই জালে না পড়ার জন্য বারংবার সাবধানবাণী শোনাচ্ছেন সাইবার বিশেষজ্ঞরা। এবার বুদ্ধিমত্তার জোরে বাঁচলেন এক গৃহবধু।

 

 

৩৫ বছরের ওই মহিলার কাছে একটি ফোন আসে গত চার নভেম্বর। তিনি মুম্বইয়ের বোরিভালি ইস্টে থাকেন। হঠাৎই ফোন আসার পর ফোনের ওপর প্রান্ত থেকে বলা হয় ভারতের টেলিকম রেগুলেটরি থেকে ফোন করা হয়েছে। ওই মহিলার আধার কার্ড নিয়ে জালিয়াতি করা হয়েছে। অন্তত ১৫ জন মানুষকে তাঁর নম্বর ফোন করে উত্যক্ত করা হয়েছে। ওই মহিলা সেই দাবি অস্বীকার করেন।

 

 

এর পরেই সঞ্জয় সিং নামে এক ব্যক্তি তাঁকে ভিডিও কল করেন। তিনি নিজেকে মুম্বই ক্রাইম ব্রাঞ্চে (গোয়েন্দা শাখা) -র অফিসার বলে পরিচয় দিয়েছিলেন। তাঁর পরনে ছিল খাকি পোশাক। তাঁর ঠিক পিছনে মুম্বই পুলিশের লোগো দেখা যাচ্ছিল। এরপর ওই প্রতারক মহিলাকে তাঁর ছবি এবং আধার কার্ডের ছবি পাঠাতে বলেন হোয়াটসঅ্যাপ করে। ওই মহিলা ঘাবড়ে গিয়ে সেই মতো কাজ করেন। এরপর তাঁকে বলা হয় তিনি দুই কোটি টাকা আর্থিক জালিয়াতি করেছেন। এর জন্য তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এই বিষয়টি নিয়ে পরিবার বা আত্মীয়দের কাউকে জানানো যাবে না। তাঁর উত্তরে যদি সন্তুষ্ট না হন তাহলে তাঁকে দুই বছরের জন্য জেলে যেতেও হতে পারে। এরপর ওই মহিলাকে মানি লন্ডারিংয়ো জড়িত পাঁচজনের ছবি দেখিয়ে জানতে চাওয়া হয় তিনি এদের চেনেন কিনা! মহিলা কাউকে চেনেন না বলে জানালে ওই ব্যক্তি তাঁকে আরও চেপে ধরেন। এরপর ওই মহিলার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলি নিয়ে জিজ্ঞাসা করতে শুরু করেন। তাঁর ডিটেইলস চাওয়া হয়।

 

 

তখন ওই মহিলার সন্দেহ হয়। তিনি জানান, যদি তিনি পুলিশ হন তাহলে তাঁকে এইভাবে ভিডিও কলে জেরা করছেন কেন? সামনে থেকে জিজ্ঞাসা করা উচিত তাঁর। এরপর ওই মহিলা বলেন, তিনি নিজে গিয়ে এই বিষয়টি নিয়ে পুলিশ কমিশনারেটের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন। তিনি যে নির্দোষ সেই বিষয়ে প্রমাণও দেবেন। এরপরই ওই ব্যক্তি ফোন কেটে দেন। মহিলা পরে থানায় গিয়ে ওই ব্যক্তির নামে অভিযোগ দায়ের করেন।