আজকাল ওয়েবডেস্ক: বাড়ির পাশে নর্দমা পরিষ্কার করাকে কেন্দ্র করে তুমুল বচসা দুই দলের মধ্যে। অবশেষে প্রকাশ্যে চলল গুলি। কাকা ও ভাইপোকে গুলি করে খুন করল স্থানীয় কয়েকজন যুবক। দীপাবলিতে যে ঘটনায় শিউরে উঠেছেন স্থানীয়রা। 

 

সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে গ্রেটার নয়ডায়। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সোমবার ঘটনাটি জরচা থানার অন্তর্গত সাথলি গ্রামে নর্দমার জল পরিষ্কার করাকে কেন্দ্র করে তুমুল বচসার জেরে এক ব্যক্তি ও তাঁর ভাইপোকে গুলি করে খুন করা হয়েছে। ৫৫ বছরের ওই ব্যক্তি ও তাঁর ২১ বছরের ভাইপো ঘটনাস্থলে মারা যান। 

 

পুলিশ আরও জানিয়েছে, নর্দমা দিয়ে ঠিক মতো জল যেত না। সেই নর্দমা পরিষ্কার করাকে কেন্দ্র করেই স্থানীয় দুই দলের মধ্যে বচসা হয়। সেই বচসার জেরেই ৫৫ বছরের অজয়পাল ভাটি ও ২১ বছরের দীপাংশু ভাটিকে গুলি করে খুন করা হয়েছে। অভিযুক্তরা হল, প্রিন্স ভাটি, ববি, ও মনোজ নগর। 

 

গ্রেটার নয়ডার পুলিশ আধিকারিক সাদ মিঞা খান জানিয়েছেন, অনুপ ভাটি নামের এক ব্যক্তি থানায় ফোন করে জানান, তাঁর ভাই ও ছেলেকে গুলি করে খুন করেছে স্থানীয় কয়েকজন যুবক। মৃতদেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে এফ আই আর দায়ের করেছে পুলিশ। 

 

ঘটনার জেরে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে। গ্রামবাসীরা পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান। পুলিশ জানিয়েছে, এলাকায় একাধিক পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে এসেছে। কয়েকজন অভিযুক্তকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। 

 

আরও পড়ুন: ফানুস থেকে পুজো মণ্ডপে দাউদাউ আগুন, নিমেষে পুড়ে খাক! অক্ষত অবস্থায় শুধুমাত্র জগদ্ধাত্রী মূর্তি

 

প্রসঙ্গত, গত মার্চ মাসে এমন আরেকটি ভয়ঙ্কর হত্যাকাণ্ড ঘটেছিল। ঘর তৈরি করাকে কেন্দ্র করে পারিবারিক বিবাদের জেরে নিজের ভাই এবং ভাইপোকে কুপিয়ে খুন করার চেষ্টার অভিযোগ উঠল এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার সকালে মুর্শিদাবাদে রঘুনাথগঞ্জ থানার অন্তর্গত নবাব জায়গীর এলাকায়। 

 

আহত দুই ব্যক্তির নাম, রহমত শেখ ও আব্দুল বারিক। বর্তমানে তাঁরা জঙ্গিপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নিজেদের পৈতৃক বাড়ির ছাদে নতুন করে একটি ঘর তৈরি করাকে কেন্দ্র করে গত কয়েকদিন ধরে নবাব জায়গীর এলাকার বাসিন্দা জনৈক ফারুক শেখের সঙ্গে তাঁর ভাই এবং ভাইয়ের পরিবারের বাকি সদস্যদের বিবাদ চলছিল। 

 

শনিবার সকাল থেকে ফারুক নতুন করে ওই বাড়ির ছাদে একটি ঘর তৈরি করার কাজ শুরু করলে তাঁর ভাই এবং ভাইপোরা সেই কাজে বাধা দেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে গতকাল দুই পরিবারের মধ্যে অশান্তিও হয়। ফারুকের বৌদি ফুলেরা বিবি অভিযোগ করেন, 'আমাদের শরিকি বাড়িতে হঠাৎ করেই ফারুক একটি নতুন ঘর তৈরি করতে শুরু করেছে। আমার ছেলে এবং স্বামী সেই ঘর তৈরিতে বারণ করলেও ফারুক শুনছিল না। গতকালকে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে অশান্তিও হয়। গতকালের ঘটনার জেরে আজ সকালে হঠাৎই ফারুক আমার ছেলে এবং স্বামীর উপর হাতুড়ি এবং চাকু দিয়ে হামলা করে।' 

 

রক্তাক্ত অবস্থায় বাবা এবং ছেলে লুটিয়ে পরলে প্রতিবেশীরা ঘটনার খবর পেয়ে তাঁদেরকে উদ্ধার করে জঙ্গিপুর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান। রঘুনাথগঞ্জ থানার এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ঘটনার খবর তাঁরা পেয়েছেন। তবে পরিবারের তরফ থেকে এখনও কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি। পুলিশ গোটা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে।