আজকাল ওয়েবডেস্ক: শুধুমাত্র নিজের জিও সিম কাজ না করায় কোম্পানির ডাকে সুদূর জার্মানি থেকে ভারতে উড়ে আসতে হল এক ব্যক্তিকে। জার্মানিতে বসবাসকারী ওই ব্যক্তি দাবি করেছেন, শুধুমাত্র তাঁর নিজের জিও সিম কার্ড পুনরায় সচল করার জন্যই তাঁকে জার্মানি থেকে ভারতে আসতে হয়েছে। তাঁর এই অভিজ্ঞতা নিয়ে করা একটি পোস্ট এখন ভাইরাল হয়ে গিয়েছে রেডিট অ্যাপে। রেডিটের ‘লিগাল অ্যাডভাইস ইন্ডিয়া’ ফোরামে শেয়ার করা পোস্টে তিনি পুরো ঘটনার বিবরণ দিয়ে লিখেছেন, ‘আমার জিও প্রিপেইড নম্বর নিয়ে বিদেশে থাকার সময় আমি যে সমস্যার সম্মুখীন হয়েছি, তার একটি স্পষ্টতা চাই’।

যদিও সংস্থা বা ট্রাইয়ের তরফে এখনও কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি। ওই ব্যক্তি জানান, গত ১২ জুন তাঁর সিম নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়, তখন তিনি জার্মানিতে ছিলেন। তিনি রেডিটে তাঁর পোস্টে লেখেন, ‘আমি স্বীকার করছি আমার সিম ছ’মাসের বেশি সময় ধরে সক্রিয় ছিল না। নিয়ম মেনে জিও সংস্থা সেটি বন্ধ করার অধিকার রাখে। কিন্তু কোনও অফিসিয়াল এসএমএস বা ইমেলের মাধ্যমে আমাকে আগে থেকে জানানো হয়নি’। ওই পোস্টে লিখেছেন তিনি। ট্রাইয়ের নিয়ম ও জিও-র শর্তাবলীর কথা তুলে ধরে তিনি জানান, সিম নিষ্ক্রিয় করার আগে গ্রাহককে অগ্রিম নোটিশ দেওয়ার কথা এবং ন্যূনতম ২০ টাকার রিচার্জে ১৫ দিনের গ্রেস পিরিয়ডে পুনরায় সক্রিয় করার সুযোগ থাকার কথা।

আরও পড়ুন: রামধনুর মতো বাঁক খাওয়ানো সুইংয়ে হ্যাটট্রিক, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ওই পারফরম্যান্স নিয়ে কথাই বলেন না পাঠান, কেন?

কিন্তু তাঁর ক্ষেত্রে ১১ জুন পর্যন্ত সিম সক্রিয় থাকলেও ১২ জুন হঠাৎই তা বন্ধ হয়ে যায়। তিনি অভিযোগ করেন, বারবার জিও কেয়ার, গ্রিভান্স অফিসার, এমনকি ট্রাইয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করার পরও কেবল অটোমেটেড টেমপ্লেট রিপ্লাই পেয়েছেন, যেখানে তাঁর মূল প্রশ্নগুলির উত্তর মেলেনি। জিওর কাছ থেকে একমাত্র স্পষ্ট উত্তর ছিল, ২০২৫ সালের ৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সিম পুনরায় সক্রিয় করা যাবে, কিন্তু কেবলমাত্র ভারতে শারীরিকভাবে উপস্থিত থাকলেই। এতে বাধ্য হয়ে তাঁকে জার্মানি থেকে ভারতে আসতে হয়েছে। ওই ব্যক্তির দাবি, এই আচমকা যাত্রা তাঁর কাছে অর্থনৈতিক ক্ষতি এমনকি চাকরির ক্ষেত্রে অসুবিধা ডেকে এনেছে।

পোস্টটি ঘিরে সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে। অনেক ব্যবহারকারী জানিয়েছেন, জিও সিম নিয়মিত টপ-আপ না করলে ৯০ দিনের মধ্যেই বন্ধ হয়ে যেতে পারে। আবার কেউ কেউ বলেছেন, ভোডাফোন-আইডিয়া (VI)-র সিম দীর্ঘ সময় ব্যবহার না করলেও টপ-আপ করলে সচল থাকে। অন্যদিকে, কিছু ব্যবহারকারী সমাধানের উপায়ও জানিয়েছেন, ‘পোস্টপেইড কানেকশনে সাধারণত এই ধরনের সমস্যা হয় না। অথবা ভারতে আত্মীয়স্বজনের মাধ্যমে সিম হারানোর এফআইআর করে নতুন সিম তোলা যায়’। কিন্তু এই অভিযোগের ভিত্তিতে প্রশ্ন উঠছে, জিও কি আসলেই ট্রাইয়ের গাইডলাইন লঙ্ঘন করেছে, নাকি সংস্থার অভ্যন্তরীণ নিয়মেই সিম বন্ধ হয়েছে?