আজকাল ওয়েবডেস্ক: ভারতে, মানুষের বিশ্বাসের সঙ্গে এই নদী জড়িত বলে এই নদীকে দেবীর মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। মানুষ নদীর জল দিয়ে পুজোও করে। অমাবস্যার দিন এবং পূর্ণিমাতে গঙ্গা নদীতে স্নানের বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। এছাড়াও, গঙ্গা সপ্তমীতে মা গঙ্গার পুজো করাও গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্বাস অনুসারে, গঙ্গা নদীতে স্নান করলে মানুষের সমস্ত পাপ মুক্ত হয়। অনেকের বিশ্বাস যে, গঙ্গা ভারতের প্রাচীনতম নদী, তবে ভারতের প্রাচীনতম নদী গঙ্গা বা যমুনা নয়। তাহলে কোন নদী এ দশের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত সবচেয়ে প্রাচীন নদী?
ভারতের প্রাচীনতম নদীর নাম শুনে আপনারা সকলেই অবাক হবেন, কারণ পৃথিবীতে এর অস্তিত্ব শত শত বছর আগেই শেষ হয়ে গেছে।
আসলে, ভারতে প্রবাহিত এই নদীর নাম সরস্বতী। এই নদীকেই প্রাচীনতম নদী হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এর অস্তিত্ব শত শত বছর আগে পৃথিবী থেকে বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছে।, কিন্তু আজও সরস্বতী নদী ভূগর্ভস্থ প্রবাহিত হচ্ছে। এই নদীর স্রোত এখনও ভূগর্ভস্থ।
হিন্দু ধর্মগ্রন্থে সরস্বতী নদীর উল্লেখ আছে। ঋগ্বেদে সরস্বতী নদী যমুনার পূর্বে এবং শতদ্রুর পশ্চিমে প্রবাহিত বলে জানা গিয়েছে। সাধারণত সবাই এই নদীর নাম শুনেছেন, কিন্তু আজ পর্যন্ত কেউ এই নদীটি দেখেননি। বিশ্বাস অনুসারে, গঙ্গা, যমুনা এবং সরস্বতী প্রয়াগরাজে মিলিত হয়। এ কারণেই এটিকে ত্রিবেণী সঙ্গম বলা হয়। মহাভারতে এই নদীর অন্তর্ধানের কথা লেখা আছে। সেই অনুসারে, এই নদীটি হরিয়ানার যমুনানগরের একটু উপরে এবং শিবালিক পাহাড়ের একটু নীচে আদি বদ্রি নামক স্থান থেকে উৎপন্ন হত।
বিজ্ঞানীদের গবেষণা অনুসারে, প্রাচীনকালে এই নদীর প্রবাহের প্রমাণও পাওয়া গিয়েছে। তাদের মতে, হিমালয়ের আদি বদ্রি থেকে গুজরাটের কচ্ছ পর্যন্ত ৫০০০ কিলোমিটার ভূগর্ভস্থ জলের অস্তিত্ব পাওয়া গিয়েছে। বিজ্ঞানীদের মতে, বহু বছর আগে এখানে ভূমিকম্পের কারণে সরস্বতী নদীর জল নীচে নেমে গিয়েছিল। তবে, আজও এই নদীর ধ্বংসাবশেষ ঘাঘর-হাকরা নদীর আকারে বিদ্যমান।
