আজকাল ওয়েবডেস্ক: সোমবার দুপুর আড়াইটেয় সাংবাদিক বৈঠক করে ভারতীয় সেনা। ছিলেন সেনাপ্রধান, ডিজিএমও। সেখানেই তাঁরা বলেন কীভাবে পাকিস্তানের সব আক্রমণ সফল ভাবে প্রতিহত করা হয়েছে। সেই সময় এক সাংবাদিক এয়ার মার্শাল এ কে ভারতীকে প্রশ্ন করেন, পাকিস্তানের কিরানা হিলের পরমাণু ঘাঁটিতে ভারত হামলা করেছে কি না। উত্তরে এয়ার মার্শাল বলেন, না ভারত কোনও আক্রমণ করেনি।

তিনি আরও বলেন, "কিরানা হিলে পরমাণু ঘাঁটি রয়েছে সেই খবর দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ। আমরা সেই বিষয়ে জানতাম না। আমরা কিরানা হিলে হামলা করিনি। সেখানে যাই থাকুক না কেন।" বেশ কিছুদিন ধরেই গুজব চলছিল যে, সারগোধার মুশাফ বিমানঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে ভারত। সন্দেহ এটি একটি পরমাণু ঘাঁটি। সেই গুজবকে এদিন নস্যাৎ করে দিয়েছেন এয়ার মার্শাল। কিরানা হিল বিস্তীর্ণ পাহাড়ে ঘেরা এলাকা এবং পাক প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের অধীনস্থ। 

বৈঠকে এয়ার মার্শাল সাফ জানান, ভারতের লড়াই ছিল, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে। পাকসেনার বিরুদ্ধে নয়। ৭ মে, ভারতীয় সেনা বেছে বেছে কেবল পাক জঙ্গিঘাঁটিতেই হামলা চালিয়েছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক, যে পাক সেনা ভারতের সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইকে নিজেদের লড়াই হিসেবে ধরে নিল। জঙ্গিদের সমর্থনে লড়াই করল ভারতের সঙ্গে। 

তিনি আরও জানান, দেশের প্রতিরক্ষাবাহিনী বারবার প্রতিহত করেছে পাক-আক্রমণ। পাক বিমানের হামলা রুখেছে ভারত। ধ্বংস করা হয়েছে চিনের তৈরি পাক-ড্রোন, পাকিস্তানের বিমান। পাক ক্ষেপণাস্ত্রের ধ্বংসাবশেষ মিলেছে বলেও জানানো হল বৈঠকে।

বৈঠকে ডিজিএমও ভারতের এয়ার ডিফেন্সকে সত্তরের দশকের অষ্ট্রেলিয়ার বোলিং লাইন আপ-এর সঙ্গে তুলনা করে বুঝিয়ে দেন, ঠিক কীভাবে, স্তরে স্তরে সাজানো ভারতের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। বিপক্ষ এক স্তর অতিক্রম করলেও, ঠিক ধাক্কা খাবে পরের স্তরে।

এদিনের বৈঠকে ডিজিএমও লেফটেন্যান্ট জেনারেল রাজীব ঘাই জানালেন, দিনে দিনে কীভাবে বদলে গিয়েছে জঙ্গি কার্যকলাপের ধাঁচ। ভারতে সমুদ্রে বিভিন্ন স্তরে যে কঠোর প্রতিরক্ষা বলয় তৈরি হয়েছে, নৌ সেনার পক্ষ থেকে এদিন জানানো হল তাও।