আজকাল ওয়েবডেস্ক: বৃহস্পতিবার রাতে ভারতের বাছাই করা ৩৬টি জায়গাকে টার্গেট করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে পাকিস্তান। শুক্রবার সাংবাদিক সম্মেলন করে এমনটাই জানাল ভারতীয় সেনাবাহিনী। সেনার তরফে এদিন জানানো হয়, হামলার ঘটনায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী তুরস্কের নির্মিত ড্রোন ব্যবহার করেছে। ড্রোনগুলির ধ্বংসাবশেষের প্রাথমিক ফরেনসিকের পর জানা গিয়েছে, সেগুলি তুরস্কের তৈরি অ্যাসিসগার্ড সঙ্গার মডেলের ড্রোন।

সাধারণত, এই ধরনের ড্রোনগুলি নজরদারি ও ‘প্রিসিশন স্ট্রাইক’-এর জন্য ব্যবহৃত হয়। এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে ভারতীয় বায়ুসেনার উইং কমান্ডার ব্যোমিকা সিং জানান, ‘৮ এবং ৯ মে রাতে পাকিস্তান সেনাবাহিনী পশ্চিম সীমান্তজুড়ে একাধিকবার ভারতীয় আকাশসীমা লঙ্ঘন করে। তাদের উদ্দেশ্য ছিল ভারতের সামরিক এলাকাগুলিতে হামলা চালানো’। তিনি আরও বলেন, ‘পাকিস্তান সেনা এলওসি-এর দিকেও আর্টিলারি হামলা চালিয়েছে। সীমান্তে ব্যাপক সংখ্যক ড্রোনের অনুপ্রবেশ ঘটেছে।

সীমান্ত ও লাইন অফ কন্ট্রোল বরাবর লেহ থেকে শুরু করে সির ক্রিক পর্যন্ত প্রায় ৩৬টি জায়গায় ৩০০ থেকে ৪০০টি ড্রোন ও অন্যান্য প্রযুক্তিগত উপায়ে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করা হয়েছে’। সাংবাদিক সম্মেলনে সেনার তরফে জানানো হয়, ‘এই হামলার মূল উদ্দেশ্য ছিল ভারতের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পরীক্ষা করে দেখা ও ভিতরের তথ্য সংগ্রহ করা’।

এমনকি, ভাতিন্ডা এয়ারবেসকে লক্ষ্য করেও হামলার চেষ্টা করেছিল পাকিস্তান। কিন্তু ভারতের এয়ার ডিফেন্স তৈরি থাকায় তা মুহূর্তেই নিষ্ক্রিয় করা হয়। তবে ছেড়ে কথা বলেনি ভারত। এদিন সেনার তরফে জানানো হয়, জবাবে পাকিস্তানের চারটি ডিফেন্স এয়ারবেসে হামলা চালায় ভারত। একটি ড্রোন সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করে দেয় শত্রু দেশের এডি রাডার। তবে শুধু ড্রোন হামলাতেই সীমাবদ্ধ ছিল না পাকিস্তান। নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর হামলা চালানো হয় কামান দিয়েও। যে কারণে আহত হন বেশ কয়েকজন সেনা জওয়ান।