আজকাল ওয়েবডেস্ক: ট্রাম্পের চেষ্টাই যেন বুমেরাং হল। আরও কাছাকাছি মোদি-পুতিন! চীনের তিয়ানজিনে এসসিও শীর্ষ সম্মেলনের পর সোমবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তাঁদের দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের গন্তব্যে একই গাড়িতে পাশাপাশি বসে গেলেন।
প্রধানমন্ত্রী মোদি নিজেই তাঁর এক্স অ্যাকাউন্টে পুতিনের সঙ্গে তাঁর একশঙ্গে গাড়ি করে যাওয়ার ছবি শেয়ার করেছেন। তিনি বলেছেন, "এসসিও শীর্ষ সম্মেলনের অনুষ্ঠানের পর, প্রেসিডেন্ট পুতিন এবং আমি একসঙ্গে আমাদের দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের গন্তব্যে ভ্রমণ করেছি। তাঁর সঙ্গে কথোপকথন সর্বদা অন্তর্দৃষ্টিপূর্ণ।"
After the proceedings at the SCO Summit venue, President Putin and I travelled together to the venue of our bilateral meeting. Conversations with him are always insightful. pic.twitter.com/oYZVGDLxtc
— Narendra Modi (@narendramodi)Tweet by @narendramodi
দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের তাৎপর্য
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প রাশিয়ার থেকে ভারতের তেল কেনার নিন্দায় মুখর। তাঁর যুক্তি ভারত যে টাকায় তেল কিনছে তা ইউক্রেনের উপর হামলার জন্য খরচ করছে মস্কো। শাস্তিস্বরূপ ভারতের উপর ২৫ শতাংশ বাড়তি শুল্কও আরোপ করেছে আমেরিকা। কিন্তু ওয়াশিংটনের এই পদক্ষেপের পরও মাথা নত করতে রাজি নয় ভারত। এই প্রেক্ষাপটে প্রধানমন্ত্রী মোদি এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের মধ্যে দ্ূপাক্ষিক বৈঠক বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। ট্রাম্প নতুন দিল্লিকে ইউক্রেনে পুতিনের যুদ্ধে অর্থায়নের জন্য অভিযুক্ত করেছেন।
রাশিয়ার স্বীকৃতি
এর আগে, প্রধানমন্ত্রী মোদি তিয়ানজিনে এসসিও শীর্ষ সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে দেখা করেছিলেন, সেখানে রাশিয়ান নেতা ইউক্রেন শান্তি প্রচেষ্টায় ভারতের ভূমিকা নিয়ে কথা বলেছিলেন। তখন পুতিন ইউক্রেনের সংকট সমাধানে চীন এবং ভারতের প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন।
২০২৪ সালের অক্টোবরে কাজানে ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনের পর চীনে ফের প্রধানমন্ত্রী মোদি এবং রাষ্ট্রপতি পুতিন ব্যক্তিগতস্তরে বৈঠক করেন। শান্তি চুক্তির জন্য আলাস্কায় ট্রাম্পের সঙ্গে রাশিয়ান প্রেসিডেন্টের বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রী মোদি শেষবার পুতিনের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছিলেন।
আরও পড়ুন- 'কোনও দেশ সন্ত্রাসবাদকে মদত দিলে মেনে নেব?' শেবহাজ শরিফের সামনেই পাকিস্তানকে কড়া নিশানা মোদির
