আজকাল ওয়েবডেস্ক: স্নানঘরে স্নান করতে ঢুকে মর্যমান্তিক পরিণতি হল দুই বোনের। একসঙ্গে দমবন্ধ হয়ে মৃত্যুর কোলে পড়লেন তাঁরা। বাথরুমেই ছিল গ্যাস গিজার। সেই গিজারের গ্যাস লিক করে গিয়েছিল, তাঁদের অজান্তেই। সেই দূষিত গ্যাস শরীরে ঢুকতেই মর্মান্তিক পরিণতি হল তাঁদের। 

 

সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে মহীশূরে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সকালে ২৩ বছরের গুলফাম ও ২০ বছরের সিমরান তাজ নামের দুই তরুণীর মৃত্যু হয়েছে। বাথরুমে গিজার থেকে এলপিজি গ্যাস লিক করেছিল। সেই গ্যাস শরীরে প্রবেশ করতেই, দমবন্ধ হয়ে বাথরুমেই মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়েন দুই বোন। 

পুলিশ সূত্রে আরও জানা গেছে, এলপিজি গ্যাস নির্ঘগত হলেও, ওই গিটারে আগুন ধরে যায়নি। কয়েক ঘণ্টা পরেও দুই বোনের কোনও সাড়াশব্দ পাওয়া যায়নি বাথরুম থেকে। তখনই সন্দেহ হয় তাঁদের বাবার। এরপর পিছনে সজোরে ধাক্কা দিয়ে বাথরুমের দরজা ভেঙে ফেলেন। তখনই দুই তরুণীকে অচৈতন্য অবস্থায় বাথরুমে লুটিয়ে থাকতে দেখেন তিনি। 

 

তড়িঘড়ি করে দুই বোনকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁদের দু'জনকেই মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। চিকিৎসকদের প্রাথমিক অনুমান, গিজারের এলপিজি গ্যাস থেকেই ঘটনাটি ঘটেছে। গিজারের গ্যাস লিক করায় দমবন্ধ হয়ে দুই বোনের মৃত্যু হয়েছে। 

 

আরও পড়ুন: অক্টোবরের শেষ সপ্তাহে ভোগান্তি! ৫৫ কিমি বেগে ঝড়, একটানা ভারী বৃষ্টি, মৎস্যজীবীদের জন্যেও নিষেধাজ্ঞা জারি

 

প্রসঙ্গত, গ্যাস গিজার জল গরম করার জন্য তরল পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) ব্যবহার করে। এই গিজারগুলি খুব দ্রুত জলকে গরম করে দিতে পারে। তবে বৈদ্যুতিক গিজারের তুলনায় এগুলি কম শক্তিশালী। এই গিজার থেকে গ্যাস লিক করে অতীতেও দুর্ঘটনা ঘটেছে। 

 

চলতি সপ্তাহেই এমন একটি দুর্ঘটনা ঘটেছে। স্নান করতে ঢুকে মর্মান্তিক পরিণতি দশম শ্রেণির এক ছাত্রীর। গ্যাস গিজার থেকে দূষিত গ্যাস লিক করায় দমবন্ধ হয়ে যায় তার। বিকল হয়ে যায় মস্তিষ্ক। দিন কয়েক পরেই মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়ল কিশোরী। 

 

সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি মহারাষ্ট্রে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বরিভলি ওয়েস্টে স্নান করতে করতেই মর্মান্তিক পরিণতি হয়েছে ১৫ বছর বয়সি এক কিশোরীর। মৃতার নাম, হর্ষিতা অমিত মালেকর। বাথরুমে স্নান করার সময়েই গ্যাস গিজার থেকে দূষিত গ্যাস লিক করে। তখনই দমবন্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে কিশোরীর। 

 

ফিনিক্স হসপিটালের চিকিৎসক জানিয়েছেন, কিশোরীর শরীরে উচ্চ মাত্রায় কার্বন ডাই অক্সাইডের উপস্থিতি ছিল। মস্তিষ্ক বিকল হয়েই মৃত্যু হয়েছে তার। পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, এই ঘটনায় দুর্ঘটনার মামলা রুজু করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছিল ১৪ অক্টোবর।‌ মৃত কিশোরী চারদিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে, গত ১৮ অক্টোবর হার মানেন। হাসপাতালে চিকিৎসা চলাকালীন তার মৃত্যু হয়েছে। 

পরিবার সূত্রে জানা গেছে, সেদিন সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ স্নান করতে গিয়েছিল সে। কিছুক্ষণ পরেই জলে ভেসে যায় গোটা ফ্ল্যাট। বাথরুমের দরজা ধাক্কা দিলেও হর্ষিতার কোনও সাড়াশব্দ পাওয়া যায়নি। এরপর এক মিস্ত্রি ডেকে বাথরুমের দরজা খোলা হয়। তখনই অচৈতন্য অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে পরিবারের সদস্যরা।