আজকাল ওয়েবডেস্ক: যদি পৃথিবীতে বিরাট প্রাণীদের কথা আসে তাহলে সেই তালিকার কুমিরকে রাখতেই হবে। জল এবং স্থলের এই অতিকায় দানব বহু বছর ধরে নিজেকে টিকিয়ে রেখেছে। দক্ষিণপূর্ব এশিয়া থেকে শুরু করে ভারত এবং উত্তর অস্ট্রেলিয়াতে এদের রাজত্ব নজরে পড়ার মতো। এখানে এখানে মিলিয়ন বছর ধরে বাস করছে।


যারা মনে করেন কুমির বোকা তারা একেবারে ভুল করছেন। এরা কিন্তু অতি বুদ্ধিমান। পাশাপাশি এদের শক্তিশালী চোয়াল এবং সেখান থাকা ধারালো দাঁত এদের শিকার ধরার অন্যতম সহায়ক। পাশাপাশি আগ্রাসী মনোভাব এদেরকে জলের নিচ থেকে শুরু করে মাটির ওপর সর্বত্রই রাজত্ব করার ব্যবস্থা করেছে।


একটি প্রাপ্তবয়স্ক কুমির প্রায় ১৫ থেকে ১৭ ফুটের হয়ে থাকে। তার ওজন হতে পারে প্রায় ৫০০ কেজি। এর থেকেও বড় হতে পারে একটি কুমিরের সাইজ। ২০১১ সালে লোলং নামে একটি কুমিরকে ফিলিপিন্স থেকে ধরা হয়েছিল। সেটি ছিল প্রায় ২০ ফুটের বেশি লম্বা। ওজন ছিল ১ হাজার ৭৫ কেজি। এটি এখনও পর্যন্ত বিশ্বের সবথেকে বড় কুমির বলে পরিচিত। এর নাম ওয়ার্ল্ড রেকর্ডেসের খাতায় রয়েছে।


তবে অবাক করা বিষয়টি হল ২০১৩ সালে এই অতিকায় দানবটি মারা যায়। তার দেহে নিউমোনিয়া হয়েছিল। এরফলে তার হার্ট বন্ধ হয়ে যায়। এখানেই শেষ নয় তার দেহে কিছু ছত্রাকের হামলা হয়েছিল যার দাপট সে সহ্য করতে পারেনি। কীভাবে এই কুমিরের দেহে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল তা আজও বিজ্ঞানীদের কাছে বিরাট বিস্ময়ের দিক।


লোলংয়ের পর অস্ট্রেলিয়ার নোনা জলের কুমির ছিল ক্যাসিয়াস। সেটি ছিল ১৮ ফুট লম্বা এবং ১৩০০ কেজি ওজন। তার নামও ওঠে গিনিসের খাতায়। তবে ২০২৪ সালে সেও মারা যায় কোনও এক অজানা ছত্রাকের হামলায়। 


এরপরই গবেষকরা এই সিদ্ধান্তে আসেন যে যাদের আকার বড় হয়ে থাকে তারা বেশিদিন পৃথিবীতে রাজত্ব করতে পারে না। তারা ভাল শিকারী হতে পারে তবে অতিকায় রূপ তাদের মৃত্যু ডেকে নিয়ে আসে।