আজকাল ওয়েবডেস্ক: এক অদ্ভুত ও বিব্রতকর দুর্ঘটনার কারণে সংবাদ শিরোনামে উঠে এলেন যুক্তরাজ্যের এক ব্যক্তি, যিনি দাবি করেন যে তাঁর যৌনাঙ্গ বিশ্বের সবচেয়ে বড়। ১৪.৫ ইঞ্চি লম্বা যৌনাঙ্গের জন্য পরিচিত এআই বিশেষজ্ঞ ম্যাট ব্যার (Matt Barr) সম্প্রতি শাওয়ারে পিছলে পড়ে হাত ভেঙে ফেলেন। আর এর জন্য তিনি দায়ী করেছেন নিজের অস্বাভাবিক দেহগঠনকেই।
ব্যার জানান, শাওয়ারে গরম জলের সময় নিচের দিকে তাকানো তাঁর জন্য কঠিন হয়ে পড়ে। ফলে, পায়ের কাছে পড়ে থাকা অতিরিক্ত শাওয়ার জেল দেখতে না পেয়ে তিনি পিছলে পড়ে যান। “আমার দৃষ্টিসীমায় শুধু আমার যৌনাঙ্গই ছিল, তাই পা কোথায় পড়ছে তা দেখতে পারিনি,” — সংবাদমাধ্যমে বলেন ব্যার। পড়ে গিয়ে তিনি মাথা ঠুকে কাঁধে আঘাত পান এবং দুটি ফ্র্যাকচার হয়। বর্তমানে তাঁর হাত প্লাস্টারে বাঁধা রয়েছে।
বিশ্বের সবচেয়ে বড় যৌনাঙ্গের কারণে ব্যারের জীবন বহু ক্ষেত্রেই সমস্যাসঙ্কুল। পোশাক পরা, হাঁটা কিংবা জনসমক্ষে সাঁতার কাটার সময় তিনি নানারকম বিব্রতকর অবস্থার মুখোমুখি হন। এমনকি শারীরিক সম্পর্কের সময়ও সঙ্গীদের আঘাত পাওয়ার আশঙ্কা থাকে বলে তিনি জানিয়েছেন। ব্যার বলেন, “শাওয়ারে এর আগেও ছোটখাটো দুর্ঘটনা ঘটেছে, কিন্তু এত গুরুতর আঘাত প্রথমবার।” তিনি এখন থেকে ধীরে ধীরে গোসল করবেন এবং শাওয়ারের ভেতর পিচ্ছিলতা রোধে বিশেষ বাথম্যাট ব্যবহার করবেন বলে জানান।
আরও পড়ুন: পর্ন ও হস্তমৈথুনের নেশা কুরেকুরে খাচ্ছে? বিরত থাকার অভিজ্ঞতা নিয়ে নতুন আন্দোলন 'নোফ্যাপ'
শুধু শারীরিক সমস্যাই নয়, সামাজিক জীবনেও তাঁকে নানারকম অস্বস্তিকর পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হয়। একবার এক রিসর্টের ম্যানেজার তাঁকে সুইমিং পুল এলাকা থেকে বেরিয়ে যেতে বলেন কারণ তাঁর শর্টসের ভেতর যৌনাঙ্গের আকার স্পষ্ট হয়ে উঠছিল। ফলে সাধারণ প্যাকেজ ট্যুর বা রিসর্ট এড়িয়ে চলেন তিনি। এছাড়া তিনি নানা অদ্ভুত প্রস্তাবও পান। এক ব্যক্তি তাঁকে ‘জায়ান্ট সেক্স কার্টুন’ এঁকে দেওয়ার অনুরোধ করেছিলেন বলে ব্যার উল্লেখ করেন।
আরও পড়ুন: (অ)নিয়মিত যৌনতায় মগ্ন জেন জি, নতুন প্রজন্মের নতুন যৌন পরিচয়- ‘গ্রে-সেক্সুয়াল’
বিশ্বের সবচেয়ে বড় যৌনাঙ্গ নিয়ে অনেকেই অনলাইন কনটেন্ট তৈরি করে অর্থ উপার্জন করেন। কিন্তু ব্যার জানিয়েছেন, তাঁর বয়স এখন অনেক হয়েছে, তাই তিনি OnlyFans বা অনুরূপ প্ল্যাটফর্মে যুক্ত হবেন না। “যদি আমি ২০ বছর কম বয়সী হতাম, হয়তো করতাম। কিন্তু এখন এসব নিয়ে ভাবছি না,” — বলেন তিনি। নিজের নতুন বই “A Long Story: Life With One of the World’s Largest Penises”–এ তিনি জীবনের নানা অভিজ্ঞতা লিপিবদ্ধ করেছেন। তবে সাম্প্রতিক দুর্ঘটনার পর ব্যার মনে করছেন, তাঁর অস্বাভাবিক দেহগঠন কেবল অস্বস্তি নয়, জীবনহানির আশঙ্কাও ডেকে আনতে পারে।
