আজকাল ওয়েবডেস্ক: ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা কেনিয়ায়। হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল যাত্রীবাহী বিমান। বিমানে ক্রু মেম্বার, পাইলট সহ মোট ১২ জন ছিলেন। ভেঙে পড়ার পরেই বিমানে দাউদাউ আগুন জ্বলতে শুরু করে। দুর্ঘটনায় ১২ জনের মৃত্যুর আশঙ্কা রয়েছে।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার সকালে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে কেনিয়ার কোয়ালে কাউন্টিতে। কেনিয়া সিভিল এভিয়েশন অথরিটি (কেসিএএ) জানিয়েছে, মঙ্গলবার ভোরে ৫ওয়াই-সিসিএ বিমানটি দিয়ানি থেকে কিচওয়া টেম্বোর উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল। বিমানটি মোট ১২ জন ছিলেন। দিয়ানি থেকে রওনা হওয়ার কিছুক্ষণ পরেই দুর্ঘটনার কবলে পড়ে বিমানটি।
কেনিয়া সিভিল এভিয়েশন অথরিটি জানিয়েছে, আজ সকাল আটটা নাগাদ বিমানটি সিম্বা গোলিনি এলাকার জঙ্গলে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে। দুর্ঘটনার কারণ নির্ধারণ এবং পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য সরকারি সংস্থাগুলোকে কোয়ালে কাউন্টির দুর্ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। বিমানটি ভেঙে পড়ার পরেই তাতে দাউদাউ করে আগুন জ্বলতে শুরু করে। কী কারণে বিমানটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ল, তার কারণ খতিয়ে দেখা শুরু হয়েছে।
Scene where at least 12 people were killed after a light aircraft crashed in Tsimba Golini area, Kwale County on Tuesday morning pic.twitter.com/xC6hd3aqGJ
— NairobiNews.co.ke (@NairobiNews254)Tweet by @NairobiNews254
সর্বশেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, বিমানে থাকা ১২ জনের কাউকে এখনও পর্যন্ত উদ্ধার করা যায়নি। এলাকায় প্রবল বৃষ্টিপাতের কারণে উদ্ধার অভিযান ব্যাহত হচ্ছে। সূত্রের খবর, বিমানটি সকলেই পর্যটক ছিলেন। তাঁরা মাসাইমারায় যাচ্ছিলেন। সকাল ন'টায় বিমান অবতরণের কথা ছিল। ঠিক এক ঘণ্টা আগেই দুর্ঘটনার কবলে পড়ে বিমানটি।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরে আগস্ট মাসেই কেনিয়ায় আরও একটি ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা ঘটেছিল। কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবিতে একটি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে বিমান বিধ্বস্ত হয়ে ৬ জন নিহত হয়েছিলেন। দাতব্য সংস্থা আমরেফ ফ্লাইং ডক্টরস জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার বিকেলে উইলসন বিমানবন্দর থেকে বিমানটি যাত্রা শুরু করেছিল। সোমালিয়ার হারগেইসা যাওয়ার পথে নাইরোবির গিথুরাই এলাকায় একটি আবাসিক ভবনে বিধ্বস্ত হয়ে আগুন ধরে যায়।
কিয়ামবু কাউন্টি কমিশনার হেনরি ওয়াফুলা বলেছেন, বিমানের চারজন যাত্রী নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে চিকিৎসক, নার্স ও পাইলটও ছিলেন। এছাড়া বিমানটি যেখানে বিধ্বস্ত হয়েছে সেখানে আরও দুজন নিহত হয়েছেন। গুরুতর আহত হয়েছেন দু'জন। দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে ঘটনাস্থলে তদন্তকারীদের পাঠানো হয়েছে। যাত্রা শুরুর তিন মিনিট পরই বিমানটির এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোলের সঙ্গে রেডিও ও রাডারের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। আমরেফের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা স্টেফেন গিতাও বলেছেন, 'বিপর্যয় মোকাবিলা দলগুলোর সঙ্গে আমরা সহযোগিতা করছি। ঘটনার তল্লাশি ও উদ্ধার অভিযানে জাতীয় পুলিশ পরিষেবা ও কেনিয়ার প্রতিরক্ষা বাহিনী নিয়োগ করা হয়েছে।'
