আজকাল ওয়েবডেস্ক: পাকিস্তানের তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার সম্প্রতি ব্রিটেনের স্কাই নিউজে এক সাক্ষাৎকারে ভারতের বিরুদ্ধে বেসামরিক এলাকায় হামলার অভিযোগ তোলেন। কিন্তু সেই দাবিকে কার্যত ভেঙে দেন সংবাদ উপস্থাপক ইয়ালদা হাকিম, যিনি পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদে মদতের ইতিহাস তুলে ধরেন এবং একাধিক প্রামাণ্য তথ্যের মাধ্যমে মন্ত্রীকে বিড়ম্বনায় ফেলেন।

ইয়ালদা হাকিম সরাসরি উল্লেখ করেন যে, পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী খাজা আসিফ তারই একটি অনুষ্ঠানে স্বীকার করেছিলেন, দীর্ঘদিন ধরে পাকিস্তান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে "নোংরা কাজ" করে আসছে — অর্থাৎ, সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীকে সমর্থন দিয়েছে। তিনি আরও বলেন, “২০১৮ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প পাকিস্তানের বিরুদ্ধে দ্বিচারিতার অভিযোগ তুলে সামরিক সাহায্য বন্ধ করে দেন।”

তারার দাবি করেন, “পাকিস্তানে কোনও সন্ত্রাসী ঘাঁটি নেই। আমরা সন্ত্রাসের শিকার, লড়াই করছি পশ্চিম সীমান্তে।” কিন্তু ইয়ালদা হাকিম তখনই উল্লেখ করেন যে আল-কায়েদার নেতা ও ৯/১১ হামলার মূল চক্রী ওসামা বিন লাদেন পাকিস্তানের অ্যাবটাবাদে নিহত হন।

এদিকে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রী জানান, “ভারত সুনির্দিষ্ট ও দায়িত্বশীল পদক্ষেপ নিয়েছে, যা আত্মরক্ষা ও আগাম হুমকি প্রতিরোধে জরুরি ছিল।"

জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের বিবৃতির কথাও তুলে ধরেন তিনি, যেখানে বলা হয়েছে, "সন্ত্রাসের পরিকল্পনাকারী ও মদতদাতাদের বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।"

পাকিস্তানের অস্বীকৃতির বিপরীতে, আন্তর্জাতিক মহলে ভারতের কূটনৈতিক অবস্থান যে জোরালো হচ্ছে, তা স্পষ্ট।