আজকাল ওয়েবডেস্ক: যদি সাপকে কেউ ভয় করে থাকেন তাহলে তিনি একবার এই সাপের সামনে পড়লে কী হবে ভাবলেই চোখ কপালে উঠে যাবে। এর নাম টাইটানোবোয়া। এটি লম্বায় ছিল ৫০ ফুট। তাহলে এর দেহটি কেমন হবে তা নিয়ে সকলে একটি আন্দাজ করতেই পারেন।
৫০ মিলিয়ন বছর আগে পৃথিবীতে বাস করত টাইটানোবোয়া। এর ওজন ছিল প্রায় ১ টন। মানে হল এটি ছিল একটি স্কুলবাসের তুলনায় লম্বা। এর কাছে একটি ঘোড়াও ছিল শিশুর সমান।
গবেষকরা মনে করছেন পৃথিবীতে ডাইনো যুগের শেষ পর্বে দাপিয়ে বেড়াত এই সাপ। কলম্বিয়ার একটি কয়লার খনি থেকে এই সাপের ফসিল পাওয়া গিয়েছে। দক্ষিণ আমেরিকায় ছিল এই খনিটি। সেখানেই মাটির বহু নিচ থেকে এই সাপের ফসিল মিলেছে।
এর ফসিল থেকে এটা প্রমাণিত যে অতি গরম থেকে শুরু করে তীব্র শীত দুটোই অতি সহজে মানিয়ে নিতে পারত। পৃথিবীর পরিবেশকে অতি সহজে হেলায় হারাত এই সাপ। এর মুখের যে আকার দেখা গিয়েছে সেখান থেকে বোঝা যায় এটি যেকোনও বড় ধরণের মাছ বা কুমিরকে অতি সহজে কায়দা করে গিলে নিত। এর চোয়াল এতটা শক্ত ছিল শিকারকে মুখে ফেলে তাকে দ্রুত মেরে ফেলত।
এটি আসলে বোয়া প্রজাতির একটি সাপ। তবে এটি কখনই বিষাক্ত ছিল না। শিকারকে জড়িয়ে ধরে তাকে ধ্বংস করা এর কাছে ছিল জলভাতের সমান। এই সাপের ফসিল থেকে বিজ্ঞানীরা মনে করেন এটি ডাইনো যুগের সঙ্গেও নিজেকে মানিয়ে নিয়েছিল।
এই সাপের একটি মডেল তৈরি করে সেটিকে মিউজিয়ামে রেখে দেওয়া হয়েছে। আজও সাধারণ মানুষ এই মডেলটি দেখে অবাক হয়ে যান। টাইটানোবোয়া আর পৃথিবীতে নেই। তবে এর ফসিল প্রমাণ করে পৃথিবীতে একদিন সে রাজত্ব করে গিয়েছে। প্রকৃতি তাকে বাঁচতে দেয়নি। তাই সে শেষ হয়ে গিয়েছে। এটাই চিরকালীন নিয়ম।
