আজকাল ওয়েবডেস্ক: নরেন্দ্রপুরে শুক্রবার সকালে, সংস্থার ভিতর থেকে কর্মীর দেহ উদ্ধার হয়েছে। ফের শহরে দেহ উদ্ধার। শুক্রবার দুপুরে খাস কলকাতার অভিজাত এলাকা, পার্ক স্ট্রিটের একটি হোটেল থেকে এক যুবকের দেহ উদ্ধার হয়েছে বলে তথ্য। প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য, বক্স খাটের ভিতর থেকে উদ্ধার হয়েছে দেহ।
ঘটনার খবর পেয়েই তৎক্ষণাৎ সেখানে উপস্থিত হয়েছে লালবাজারের হোমিসাইড শাখা। হোটেল রুমের ভিতরেই যুবককে খুন করা হয়েছে, পুলিশের প্রাথমিক অনুমান তেমনটাই। তবে প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত, যুবকের পরিচয়, খুন কি না, হলে কীভাবে সেসব বিষয়ে নিশ্চিত তথ্য পাওয়া যায়নি।
সূত্রের খবর, শুক্রবার সকালে পচা গন্ধের সূত্র ধরেই প্রকাশ্যে আসে ভয়াবহ সত্য। হোটেলের কর্মীরা যখন হোটেলের রুমে রুটিন চেক করছিলেন, তখন তিন তলার ঘর নম্বর ৩০৫ থেকে পচা গন্ধ পান। নয়া ব্যক্তি ওই ঘরে ঢুকতেই তিনিও চমকে ওঠেন। খোঁজখুঁজির পর বক্স খাটের ভিতরে থেকে উদ্ধার হয় দেহ।
জানা গিয়েছে, ওই ঘরটি বুক করা হয়েছিল ওড়িশার বাসিন্দা বয়ান লালের নামে। তিনি নিজের পরিচয়পত্র দিয়ে ঘর ভাড়া করেন। কিন্তু পুলিশ জানতে পেরেছে, যে ব্যক্তির নামে ঘর বুক, তিনি জীবিত রয়েছেন। রহস্য ভেদে, ময়নাতদন্তের রিপোর্টের অপেক্ষায় পুলিশ।
আরও পড়ুন: অন্ধ্রপ্রদেশের কুর্নুলে ভয়াবহ কাণ্ড, বাইকে ধাক্কা মারার পরই চলন্ত বাসে আগুন! ঝলসে নিহত
অন্যদিকে ইএম বাইপাস সংলগ্ন এক নামী পানীয় প্রস্তুতকারক সংস্থার ভিতর থেকে এক যুবকের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধারকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা নরেন্দ্রপুর এলাকায়। শুক্রবার সকালে ওই সংস্থার শৌচাগার থেকে উদ্ধার হয় রক্তমাখা দেহ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত যুবকের নাম কবীর হোসেন মোল্লা, বয়স প্রায় ৩০। আট মাস আগে কবীরের বিয়ে হয়েছিল বলেও জানা গিয়েছে। গায়ে একাধিক আঘাতের চিহ্ন থাকায় পুলিশের প্রাথমিক অনুমান—এটি নিছক দুর্ঘটনা নয়। অন্যদিকে পরিবারের দাবিও তেমনটাই। একইসঙ্গে পরিবারের দাবি, কবীরের কারও সঙ্গেই ব্যক্তিগত শত্রুতা ছিল না। কে বা কারা, কেন এই কাজ ঘটিয়েছেন, তা নিয়েই ধন্দে। 'খুনের বিচার চাই' দাবি তুলেছেন তাঁরা।
স্থানীয় সূত্রে খবর, কবীর ওই সংস্থার কর্মী ছিলেন। পরিবারের দাবি, গত ২২ অক্টোবর দুপুরের পর থেকেই তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ওইদিন দুপুরে পরিবারের সঙ্গে শেষ কথা হয়েছিল তাঁর। তারপর থেকে ফোন বন্ধ থাকায় উদ্বেগ বাড়ে পরিবারের মধ্যে। বৃহস্পতিবার পরিবারের সদস্যরা সরাসরি ওই সংস্থার অফিসে গিয়ে খোঁজ নিলে কর্তৃপক্ষ স্পষ্ট কিছু বলতে পারেনি বলেও জানিয়েছেন সদস্যরা। কেউ কেউ জানিয়েছিলেন, কাজের সময় অর্থাৎ শিফট পেরিয়ে গিয়েছে, তাই সঠিক তথ্য নেই। পরিবারের দাবি, সংস্থার অ্যাটেনডেন্স রেজিস্টারে দেখা যায়, ‘আউট’ মার্কই করা হয়নি!
এই অসঙ্গতি নিয়েই ক্ষোভে ফেটে পড়েন মৃতের পরিবারের সদস্য ও সহকর্মীরা। তাঁদের অভিযোগ, সংস্থার ভিতরেই পরিকল্পতভাবে খুন করা হয়েছে যুবককে। ঘটনার পর থেকেই কর্তৃপক্ষের অধিকাংশই গা ঢাকা দিয়েছে বলেও খবর সূত্রের। শুক্রবার সংস্থার প্রধান দরজার সামনে বিক্ষোভ দেখান পরিবারের সদস্য এবং যুবকের সহকর্মীরা।
