আজকাল ওয়েবডেস্ক: বলিউডের প্রথম সারির নায়িকাদের মধ্যে অন্যতম তিনি। কিন্তু অভিনয়ের মতোই বিতর্ক সামলাতেও সমান সাবলীল আলিয়া ভাট। একদিকে যেমন সন্তান সামলেই চালাচ্ছেন অভিনয়, তেমনই নজর রাখছেন নিজের স্বাস্থ্যের দিকেও। সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে এমনই জানালেন রনবীরজায়া।

অ্যামাজন প্রাইমের চ্যাট শো ‘টু মাচ’-এর দ্বিতীয় পর্বে অতিথি হিসাবে হাজির হয়েছিলেন আলিয়া ভাট এবং বরুণ ধাওয়ান। সেখানেই সঞ্চালিকা কাজল এবং টুইঙ্কল খন্নার সঙ্গে কথোপকথনের সূত্রেই মাতৃত্বকালীন ওজন কমানোর অভিজ্ঞতা নিয়ে মুখ খোলেন ৩২ বছর বয়সি এই অভিনেত্রী। ২০২২ সালের নভেম্বরে মেয়ে রাহার জন্মের পর তাঁর ওজন ঝরানোর বিষয়টি নিয়ে যে তুমুল সমালোচনা হয়েছিল, সে বিষয়েও যাবতীয় ভুল ধারণা ভাঙলেন তিনি।
সাধারণত গর্ভাবস্থায় অন্তঃসত্ত্বা নারীদের ওজন বৃদ্ধি পায়। সন্তান জন্মের পর সেই বাড়তি মেদ ঝরানো অনেকের কাছেই একটি বড় চ্যালেঞ্জ। তবে এই প্রক্রিয়া সকলের জন্য সমান হয় না এবং প্রত্যেকের শারীরিক গঠন অনুযায়ী ওজন কমার গতিও ভিন্ন হয়।
আলিয়ার ক্ষেত্রে অবশ্য ওজন কমার প্রক্রিয়াটি বেশ দ্রুত ছিল। তিনি বলেন, “রাহার জন্মের পর আমার বেশ খানিকটা ওজন বেড়ে গিয়েছিল। আমি তখন ওকে স্তন্যপান করাচ্ছিলাম, যা প্রচুর ক্যালোরি পোড়াতে সাহায্য করে। তার সঙ্গে আমি স্বাস্থ্যকর খাবারও খাচ্ছিলাম। তাই খুব তাড়াতাড়ি আমার ওজন অনেকটা কমে যায়।” অর্থাৎ, স্তন্যদানের পাশাপাশি পরিমিত এবং স্বাস্থ্যকর আহার- এই দুইয়ের মেলবন্ধনেই দ্রুত মেদ ঝরিয়েছিলেন অভিনেত্রী।
আলিয়া জানান, মাতৃত্বকালীন ওজন ঝরানোর পর তাঁকে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল। এত দ্রুত আগের চেহারায় ফিরে আসায় অনেকেই সন্দেহ প্রকাশ করেন যে, তিনি হয়তো কোনও ‘অস্বাভাবিক উপায়’ অবলম্বন করেছেন। কিংবা কোনও ওষুধ খাচ্ছেন ওজন কমানোর। এদিন আলিয়া সাফ খণ্ডন করে দেন সেই সব অভিযোগ।
অভিনেত্রীর কথায়, “আমার মনে আছে, আমার একটি ছবি প্রকাশ হওয়ার পরেই ট্রোলিং শুরু হয়। বলা হচ্ছিল, ‘ওহ্, ইনি নিশ্চয়ই অস্বাভাবিক উপায়ে রোগা হয়েছেন।’ কেউ আবার লিখছিলেন, ‘এত তাড়াতাড়ি ওজন কমানোর কী দরকার ছিল? আলিয়া, তুমি সময় নিতে পারতে।’ এই সব দেখে আমার মনে হয়েছিল ওঁদের জানাই, আরে না! এটা তো স্বাভাবিকভাবেই হয়েছে।”
এই ঘটনা এটাই প্রমাণ করে যে, প্রত্যেক মহিলার শরীর আলাদা। মেটাবলিজম তথা বিপাক হার, জীবনযাত্রা, জিনগত বৈশিষ্ট্য-সহ আরও অনেক বিষয়ের উপর মাতৃত্বকালীন ওজন কমার গতি নির্ভর করে। এর অর্থ এই নয় যে, তাঁরা কোনও কৃত্রিম পদ্ধতির সাহায্য নিচ্ছেন। আলিয়ার কথাতেই স্পষ্ট, স্তন্যপানের মতো একটি সাধারণ এবং স্বাভাবিক জৈবিক প্রক্রিয়াও ওজন কমাতে বড় ভূমিকা পালন করে। বাড়তি মেদ ঝরানোর যাত্রাপথ মানেই সব সময় কঠোর শরীরচর্চা বা চটজলদি কোনও উপায় অবলম্বন করা নয়, কখনও কখনও স্বাভাবিক শারীরিক কার্যকলাপই ক্যালোরি দহন করতে সাহায্য করে।
